Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিজেপি

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির, সোমবার বিক্ষোভ কর্মসূচি

রাজ্যজুড়ে মানিব্যাক পলিসি চলছে, ‘কাটমানি’ প্রসঙ্গে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের।

West Bengal state BJP demands CBI inquiry in Bhatpara case
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 23, 2019 9:20 pm
  • Updated:June 23, 2019 9:20 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় : পাত্রসায়র এবং ভাটপাড়া। রাজ্যের দুই এলাকায় ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করল রাজ্য বিজেপি। রবিবার দুই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের দাবি, “পাত্রসায়র, ভাটপাড়া-সহ যেখানে সেখানে গুলি চলেছে, মানুষ মারা গিয়েছে। সব ঘটনাতেই আমরা সিবিআই তদন্ত দাবি করছি। গত এক বছরে দেড়শো মানুষের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। কতদিন এই হিংসার রাজনীতি চলবে?”

[আরও পড়ুন: ‘শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুদিন পালন করলেও, আদর্শ মানেন না’, কৈলাসের নিশানায় মমতা]

রাজ্যে সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনা নিয়ে তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। অবিরত হিংসাত্মক পরিস্থিতির প্রতিবাদে সোমবার সব জেলায় পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে ধরনা ও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিজেপি।

Advertisement

কাটমানির টাকা ফেরত প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন দিলীপ। তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে মানিব্যাক পলিসি শুরু হয়েছে। নেতাদের বাড়ির সামনে হামলা করছে সবাই। মুখ্যমন্ত্রী কি জানতেন না ‘কাটমানি’ চলছে? উনি সব জানতেন। ওঁর বাড়ির সামনেও ধরনা হওয়া উচিত। কালীঘাটে ঘেরাও হওয়া উচিত।”

ভাটপাড়ার ঘটনার পর এলাকায় ঘুরে গিয়েছে বিজেপির সংসদীয় প্রতিনিধিদল। সংসদীয় দলের থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট নেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ভাটপাড়ার পর ফের পাত্রসায়রেও গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলার এই বেহাল দশার অভিযোগ তুলে সোমবার থেকেই পথে নামতে চলেছে বিজেপি। সোমবার দুপুর ১২টাতে সব জেলায় এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাবে বিজেপি। শাসকদলকে চাপে রাখতেই এই কর্মসূচি গেরুয়া শিবিরের।

[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক হিংসার বলি পরিবারগুলিকে ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্য ঘোষণা নবান্নের]

এদিকে, শাসক ও অন্যান্য দল থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগদানপর্ব চলছেই। রবিবার বিজেপির রাজ্য দপ্তরে দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে আরামবাগের আরানবি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ জন সদস্যের মধ্যে ৮ জন বিজেপিতে যোগ দেন। এই ৮জনের মধ্যে ৪জন তৃণমূল ও ৪জন নির্দল সদস্য। ফলে এই পঞ্চায়েতটি এবার শাসক শিবিরের দখলে চলে এল৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement