বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: জল্পনা-কল্পনা, টানাপোড়েনের অবসান। অবশেষে বাম-কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (Indian Secular Front) জোটের জট কাটল। গত কয়েক দিন দফায় দফায় বৈঠকের পর কার্যত সম্পূর্ণ হয়ে গেল জোট প্রক্রিয়া। অন্তত আসন সংখ্যার নিরিখে ঐকমত্যে পৌঁছল জোট শিবিরের তিন শরিক। তবে কে কোন আসনে লড়বে, সেটা নিয়ে এখনও সামান্য সংশয় রয়েছে।
জোট শিবির সূত্রের খবর, ১৬৫, ৯২, ৩৭, এই সূত্র অনুযায়ী জোটের তিন শরিকের রফা হয়েছে। অর্থাৎ সবচেয়ে বড় শরিক বামফ্রন্ট লড়বে ১৬৫ আসনে। নিজেদের দাবি মতো কংগ্রেস পাচ্ছে ৯২টি আসনই। অন্যদিকে, আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddique) আইএসএফ লড়াই করবে ৩৭ আসনে। বাম শরিকদের মধ্যে বৃহত্তম দল সিপিএম একাই লড়বে ১৩০ আসনে। দ্বিতীয় বৃহত্তম বাম দল ফরওয়ার্ড ব্লক লড়বে ১৫ আসনে। আরএসপির ভাগে পড়েছে ১১টি আসনে। সিপিআই প্রার্থী দেবে ৯টি আসন।
আসন সংখ্যা নিয়ে রফা হলেও কে কোন আসনে লড়াই করবে এটা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে বাম এবং আইএসএফের দ্বন্দ্ব এখনও অব্যাহত। আসলে মালদহ, মুর্শিদাবাদে জোট শরিকদের আসন না ছাড়ার ব্যাপারে একপ্রকার গোঁ ধরে বসে আছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গেও আইএসএফকে বেশি আসন না ছাড়ার ব্যাপারে অনড় অধীর। কিন্তু আইএসএফ চাইছে তাঁদের ভাগে থাকা ৩৭টি আসনের মধ্যে যে কোনও তিনটির পরিবর্তে মালদহে অন্তত একটি এবং উত্তরবঙ্গের অন্য দুই জেলায় একটি করে আসন তাঁদের ছাড়া হোক। এ নিয়ে আজ ফের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আইএসএফ নেতারা।
আবার বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে আবার কংগ্রেসের বিবাদ পুরুলিয়া নিয়ে। পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল মাহাতোর ওই জেলায় অন্তত ৪টি আসনে প্রার্থী দিতে চান। তাতে আপত্তি নেই বামেদের। কিন্তু কোন আসনে কারা প্রার্থী দেবে সেটা নিয়েই চলছে দ্বন্দ্ব। বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক বাঘমুণ্ডি আসনটিতে প্রার্থী দিতে চায়। অথচ, ওই কেন্দ্রে নেপাল মাহাতো নিজেই বিধায়ক। ওই আসনটি নিয়ে এখনও দুই শিবিরের দড়ি টানাটানি চলছে। তবে সবটাই আজকের মধ্যেই মিটে যাবে বলে আশা জোট শিবিরের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.