Advertisement
Advertisement
West Bengal Polls

প্রথম দু’দফায় প্রতি বুথে ৬-৮ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী, বাইরে থাকবে রাজ্য পুলিশ! ইঙ্গিত কমিশনের

রাজ্যের সব বুথ স্পর্শকাতর, সব বুথে জারি থাকবে হাই অ্যালার্ট।

West Bengal Polls: All polling booths to have central force deployment | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 9, 2021 9:38 am
  • Updated:March 9, 2021 9:45 am  

স্টাফ রিপোর্টার: ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গে স্পর্শকাতর এলাকার সংখ্যা বেড়েছে অন্তত দশ গুণ! চ্যালেঞ্জ সামলাতে তাই এবার রাজ্যের ১০০ শতাংশ বুথই স্পর্শকাতর ধরে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সব বুথই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দখলে থাকবে বলে সোমবার কমিশন কর্তাদের তরফে ইঙ্গিত মিলেছে।

রাজ্যে প্রথম দু’দফায় ৬০টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সব ক’টি বুথেই জারি থাকবে হাই অ্যালার্ট! বুথের বাইরে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি ভোট গ্রহণপর্বে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বুথের দু’শো মিটার পর্যন্ত এলাকা আধাসেনার নিয়ন্ত্রণে রাখার চিন্তাভাবনা চলছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ২৯৫ কোম্পানি বাহিনী চলে এসেছে। প্রথম দফা নির্বাচনের আগে আরও ২০০ কোম্পানি পৌঁছানোর কথা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রেল দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য প্রধানমন্ত্রীরও, ঘটনাস্থলে ফরেনসিক দল]

প্রথম দফায় বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও দুই মেদিনীপুরে মোট ৩০টি আসনে ভোট হবে, সব মিলিয়ে ১০ হাজার ২৮৮টি বুথে। মাও অধ্যুষিত এই আসনগুলিতে বুথ পিছু ৬ থেকে ৮ জন জওয়ান মোতায়েন রাখতে চাইছে কমিশন। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের এক কর্তার কথায়, “এবার বাহিনী মোতায়েন পরিকল্পনায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন কমিশন নিযুক্ত দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক। বুথের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী উপর। বুথের বাইরের অংশে রাজ্য পুলিশকে কাজে লাগানো হতে পারে।” এদিকে, অভিযোগ উঠতেই সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস প্রার্থী লাভলি মৈত্রর স্বামী তথা হাওড়ার (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সৌম্য রায়কে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

[আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী, মৃতের পরিবারকে অর্থসাহায্য ও চাকরির ঘোষণা]

আসলে কমিশন চাইছে যে কোনও মূল্যে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে। সেজন্যে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী জায়গায় জায়গায় টহল দেওয়া শুরু করেছে। কমিশন সূত্রের খবর, ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত টহলদারি চলবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথাও বলছেন। এবং তাঁদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন। সব মিলিয়ে ভোট সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণ করতে পুরোপুরি কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর ভরসা রাখছে কমিশন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement