ছ'জন প্রতিনিধিকেই বৈঠকে থাকতে দিতে হবে, আবদার বিজেপির।
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ফের মামলার গেরোয় থমকে যেতে বসেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ শনিবার সর্বদল বৈঠক বয়কট করে রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ জানাতে কলকাতা হাই কোর্টে গেরুয়া শিবির৷ আর তাতেই নতুন করে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷
আজ, শনিবার দুপুরে পঞ্চায়েত ভোটের ভাগ্য নির্ধারণের লক্ষ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সর্বদল বৈঠক ডাকে৷ কিন্তু, সর্বদল বৈঠকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে বিজেপি৷ কমিশনের বাধার মুখে পড়ে আজ গোসা করে সর্বদল বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব৷
গতকালই কমিশনের তরফে রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে সর্বদলে অংশ নিতে আবেদন করা হয়৷ কমিশনের তরফে দু’জন প্রতিনিধিকে বৈঠকে অংশ নিতে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়৷ কিন্তু, সেই আর্জি না মেনে আজ বিজেপির তরফে ছ’জনের প্রতিনিধি দল সর্বদলে যোগ দেওয়ার আবেদন জানায়৷ অভিযোগ, বিজেপির প্রতিনিধিদের বাধা দেওয়া হয়৷ এরপরই চূড়ান্ত ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি৷ কমিশনের বৈঠক বয়কট করে মামলার দায়ের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব৷
এদিন বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, ‘‘আজ আমাদের বাধা দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্য সরকারে দাসত্ব করা কমিশনের কর্মীরা আমাদের বৈঠকে যেতে বাধা দিয়েছে৷ আমরা আগেই বলেছিলাম, ছ’জন বৈঠকে অংশ নেব৷ কিন্তু, আমাদের বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া হল না৷ কারণ, বিজেপিকে আটকালে নির্বাচন কমিশনের কর্মীদের প্রোমোশন হবে৷’’
একই সঙ্গে সিপিএমের তরফেও আজ কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগা হয়৷ রবিন দেব বলেন, ‘‘কমিশন বলছে সোমবার থেকে মনোনয়নের দিন ধার্য করবে৷ কিন্তু, আমাদের দাবি মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য পর্যন্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে৷ পুলিশকে দিয়ে না হলে কেন্দ্র বাহিনী নিয়ে নির্বাচন করার কমিশন৷’’ জানা গিয়েছে, আজ বৈঠকে বিজেপির পাঁচজন নেতা আর একজন আইনজীবী ছিলেন৷ মুকুল রায়, শমীক ভট্টাচার্য, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ পাঁচজন নেতা। প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য, ‘‘আমরা ছয়জন যাব, কমিশনারকে কাল রাতেই জানিয়েছিলাম। ফ্যাক্স করেছি। ওদের সঙ্গে কথাও হয়েছিল৷ কিন্তু আমাদের আটকাল পুলিশ।’’ এর পরই বিজেপির তরফে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে বিষয়টি জানানো হয়৷ সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন করে মামলা করতে পারে বিজেপি৷ কারণ, বিজেপির সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোনও কিছু ঘোষণা করতে পারবে না কমিশন৷ ফলে, বৈঠকে বাধা দেওয়া অভিযোগ তুলে বিজেপির মামলা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.