Advertisement
Advertisement
রসগোল্লা দিবস

ডায়াবেটিস নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ, ‘রসগোল্লা দিবসে’ মাতল মিষ্টিপ্রেমী বাঙালি

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে শর্করা নিয়ন্ত্রণের প্রচার সর্বত্র।

West Bengal observes 'Rosogolla Day' on November 14
Published by: Souptik Banerjee
  • Posted:November 14, 2019 2:39 pm
  • Updated:November 14, 2019 3:43 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিষ্টি থেকে সাবধান – বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে যদি এই বার্তা দিকে দিকে প্রচারিত হয়, তবে বাংলায় ঠিক উলটো। কারণ, বঙ্গে আজ রসগোল্লার জন্মদিন। বছর দু’য়েক আগে এমন দিনেই রসগোল্লা যে বাংলা তথা বাঙালির, তাতে সিলমোহর পড়েছিল। জিআই তকমা পেয়েছিল বাংলার রসগোল্লা।

তাই এই দিন উদযাপনে আজ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিনা পয়সায় রসগোল্লা খাওয়ানোর আয়োজন করেছেন মিষ্টান্ন বিক্রেতারা। মূল উদ্যোক্তা পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির আওতায় জেলায় জেলায় থাকা সংগঠনের কয়েকটি দোকান। পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ তাঁরা জেলায় জেলায় রসগোল্লা উৎসবের আয়োজন করছে। সকলেই স্পঞ্জের রসগোল্লা তৈরি করে, তা নয়। অনেকে একটু পুরনো ঘরানার ওজনদার রসগোল্লাও পছন্দ করেন। পছন্দ যাই-ই হোক না কেন, আজ তাঁরা সবাইকে রসগোল্লা খাইয়ে দিনটি উদযাপন করতে চান। এক্ষেত্রে আবার কচিকাঁচাদেরই আগে সুযোগ দেওয়া হবে। কারণ আনন্দের মাঝে তাঁরা এটা ভুলে যাননি যে আজকের দিনটা শিশুদেরও।

Advertisement

[আরও পড়ুন :অনুব্রতর পদতলে প্রশাসনিক কর্তা! ‘মহাগুরু’ সম্বোধন করে ফেসবুক পোস্টে প্রবল বিতর্ক ]

কলকাতার বাগবাজারে রসগোল্লার আবিষ্কর্তা নবীনচন্দ্র দাশের মূর্তিতে মালা দেওয়ার পাশাপাশি রসগোল্লা নিয়ে আলোচনার আয়োজন করেছে সমিতি। নবীনচন্দ্র দাশের উত্তরসূরী এবং কে সি দাসের কর্ণধার ধীমান দাস তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট জানিয়েছেন, ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামলকুমার সেন-সহ বিশিষ্টরা হাজির থাকবেন। বৃহস্পতিবার সকালে ধীমানবাবুরা নিজেরাই পথ শিশুদের বিনা পয়সায় রসগোল্লা খাওয়ানোর পাশাপাশি তাদের হাতে পড়াশোনার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন।

জিআই নিয়ে রসগোল্লার লড়াই দীর্ঘদিনের। রসগোল্লা তাদের, এমন দাবিদার হয়ে উঠেছিল প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা। তাদের আরও দাবি ছিল, যে মিষ্টি বছরের পর বছর ধরে তাঁরা জগন্নাথ দেবকে নিবেদন করছেন, সেটাই রসগোল্লা। পশ্চিমবঙ্গ কীভাবে তাতে ভাগ বসায়? এই প্রশ্ন তুলেছিলেন ওড়িশাবাসী। ধন্দে পড়েছিলেন অনেক বাঙালিও। রসগোল্লা বাংলার না কি ওড়িশার, এই লড়াই শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শেষ অবধি জয় হয় বাংলার। নবীনচন্দ্র দাশের আবিষ্কারকেই স্বীকৃতি দেয় তারা। ওড়িশার ভাগ্যেও অবশ্য কিছু আছে। যে মিষ্টি নিয়ে তাঁদের এত গরিমা, তাকেও ‘ওড়িশার রসগোল্লা’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্র।

[আরও পড়ুন :অভিনব উদ্যোগ মমতার, বুলবুল বিধ্বস্তদের নিত্যপ্রয়োজনে ‘ডিগনিটি কিট’ দিচ্ছে রাজ্য ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement