স্টাফ রিপোর্টার: এবছর যেমন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ঠাণ্ডা পড়েছিল, তেমনি শীতও বিদায়ও নিল তাড়াতাড়ি। দোলের পরই সাধারণভাবে এ রাজ্যে ঢুকতে শুরু করে পূবালি বাতাস। কিন্তু, এবছর ফ্রেরুয়ারিতে রীতিমতো গরম পড়ে গিয়েছে। আবহাওয়াবিদদের বলছেন, শীতের মতো এবছর রেকর্ড গরম পড়তে পারে রাজ্যে। বস্তুত, গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে তিন-চার ডিগ্রির উপরে ঘোরাফেরা করছে। এদিকে, সোমবার সকালে আবার ঘন কুয়াশার ঢেকেছিল কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসারের বিপরীতমুখী ঘুর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তাই আগামী কয়েকদিন কুয়াশার দাপট চলবে।
[সাধনায় সঙ্গিনী করার ছলনায় সল্টলেকে ‘বাবা’র বাড়িতে অবাধ যৌনাচার]
ক্যালেন্ডার বলছে, ফ্রেরুয়ারি মাস। দোল আসতেও বেশ কয়েক দিন দেরি আছে। কিন্তু, তাতে কী! সকাল থেকে চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। দুপুর গড়ালেই শুকনো গরমের দাপটে নাজেহার রাজ্যবাসী। ঘাম হচ্ছে না। কিন্তু, একটু চলাফেরা করলেই গলা শুকিয়ে কাঠ। কিন্তু, ফ্রেরুয়ারি মাসে এমনটা তো হওয়ার কথা নয়। তাহলে? আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কলকাতা ও রাজ্যের বায়ুমণ্ডলের এখন জলপাষ্প বড়ই অভাব। তাই পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে শুকনো বাতাস ঢুকে পড়েছে বায়ুমণ্ডলে। আর তাতেই অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে তাপমাত্রা। সোমবার শহরের তাপমাত্রা ৩১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। আর দার্জিলিংয়ে তাপমাত্র ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আদ্রর্তা প্রায় ৮৫ শতাংশ। এই দুইয়ে যুগলবন্দিতেই বসন্তেই গলদঘর্ম শহরবাসী। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত দু’দিনেই তাপমাত্রার পারদ চড়েছে অন্তত তিন ডিগ্রি। আগামী কয়েকদিনও তাপমাত্রা উর্দ্ধমুখী হারও বজায় থাকবে। তবে নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিংয়ে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের উপমহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘তাপমাত্রা আর কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দুটোই আস্তে আস্তে ঊর্ধ্বমুখী হবে।‘ এদিকে সোমবার সকালে আবার ঘন কুয়াশা দেখা গিয়েছে কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনায়। বঙ্গোপসাগরে বিপরীতমুখী ঘুর্ণাবর্তের কারণেই কুয়াশার দাপট বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
[হার্টের অসুখ, ক্যানসার ঠেকাতে পারে যোনিরস! ভাইরাল নয়া দাওয়াই]
প্রকৃতি এই খামখেয়ালিপনায় অসুস্থ হয়ে পড়ে সম্ভাবনা ষোলোআনা। তাই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। গুমোট আবহাওয়া ঘরে ঘরে এখন সর্দি-কাশি-জ্বর। এমনকী, বসন্ত, হামের মতো রোগের প্রকোপও দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সমান্য জ্বর বা গলা খুশখুশ করলেও, তাঁদের কাছে চলে আসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
[চালকের কানে মোবাইল, ছবি তুলে পুরস্কার পেলেন ক’জন?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.