রমেন দাস: ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে জুনিয়র ডাক্তার বনাম জুনিয়র ডাক্তার। অনিকেত, দেবাশিস, কিঞ্জলদের বিরুদ্ধে এবার শ্রীশ, প্রণয়রা। শনিবার দুপুরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যখন গণ কনভেনশন চলছে, ঠিক সেই সময়ই জুনিয়র চিকিৎসকদের আরেকাংশ গঠন করে ফেলল নয়া সংগঠন ‘জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন’। আর তাদের পালটা নিশানায় অপর পক্ষের ‘টেরর কালচার’।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের লোগো প্রকাশ হয় শুক্রবার রাতেই। ‘অপপ্রচার’ রুখতেই যে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ নয়া সংগঠন তৈরি করেছেন, তা উল্লেখ করা হয়েছিল বিবৃতিতেও। শনিবার দুপরে সাংবাদিক বৈঠকে নয়া সংগঠনের আহ্বায়ক তথা জুনিয়র চিকিৎসক শ্রীশ চক্রবর্তী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, “আমাদের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায় ঘটে চলেছে। আমাদের মানসিক, শারীরিক ক্ষতি হয়েছে। গত ৯ আগস্ট খুবই খারাপ ঘটনা ঘটে। কিছু লোক রাজনৈতিক স্বার্থপরতায় কর্মবিরতির দিকে এগিয়ে যায়। আমরা বলি, আমরা প্রতিবাদ জানাব। আমরাই প্রথম আন্দোলন শুরু করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, রোগী পরিষেবাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের বয়কট করা হয়। বলা হয় আমরা নাকি থ্রেট কালচার চালাই। একটি তদন্ত কমিটি বসে। আমাদের কথা শুনল না। আমাদের কলেজে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়।”
তাঁর আরও অভিযোগ, “আমাদের ক্রিমিনাল বলা হয়। অথচ অভয়া দিদির নামে ৪.৭৫ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। রিয়া বেরার নামে টাকা তুলছে। তারা কি নটোরিয়াস ক্রিমিনাল নন! আমাদের কেরিয়ার শেষ করার জন্য লেগে পড়ে। আমরা সব মেডিক্যাল কলেজের সকলকে আমন্ত্রণ জানাই। আপনারা আসুন। সবাইকে আহ্বান জানাই। ঘোষণা করছি, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন সবার জন্য আছে। সবরকম বাধা দেওয়া হলেও আছি। থ্রেট কালচার না, টেরর কালচার বলছি। আমাদের টেরর করা হয়েছে।” কিঞ্জল নন্দও অবশ্য আরও একবার গণ কনভেনশনেও ‘হুমকি সংস্কৃতি’ বা ‘থ্রেট কালচারে’র বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তিনি বলেন,”আর জি কর কাণ্ডে দীর্ঘ ৩-৪ বছর ধরে ‘থ্রেট কালচার’ চলছে। আর জি কর কাণ্ডে সত্যিটা এখনও অধরা।” থ্রেট কালচার নাকি সত্যের পাশে থাকবেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। রাজ্য প্রশাসন থ্রেট কালচারের পক্ষ নিতে চাইছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.