গৌতম ব্রহ্ম: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে সাফল্য। ডিম উৎপাদনে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে বাংলা। রাজ্যে তৃণমূল (TMC) ক্ষমতায় আসার আগে ডিমের জন্য মূলত ভিনরাজ্যের উপরই ভরসা করতে হত বাংলাকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগ নিয়ে সেই পরিস্থিতি বদলাতে উদ্যোগ নেন। এবার সাফল্যও এল। ডিম উৎপাদনে বাংলা স্বাবলম্বী হওয়ার পথে।
শুক্রবার রাজ্যের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র (Amit Mitra) জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার গতবছর ১ হাজার ২০০ কোটি ডিম উৎপাদন করেছে। বাংলায় প্রতিবছর কমবেশি ১ হাজার ৪০০ কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ আর মাত্র ২০০ কোটি ডিম উৎপাদন করতে পারলেই ডিম উৎপাদনের ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্বাবলম্বী হয়ে যাবে রাজ্য। অমিত মিত্র জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই মুহূর্তে ৮৪টা বড় সংস্থা ডিম উৎপাদন করছে। আগামী দিনে সংখ্যাটা আরও বাড়বে।
অমিত মিত্র এদিন জানিয়েছেন, বাম (Left Front) আমলে রাজ্যের প্রয়োজন মেটাতে প্রায় সব ডিমই বাইরের রাজ্য থেকে আমদানি করা হত। বাংলাকে মূলত ভরসা করতে হত তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উপর। যার ফলে ওই রাজ্যগুলিতে কোনওরকম সমস্যা হলে রাজ্যেও ডিমের দাম হু হু করে বেড়ে যেত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ডিম উৎপাদনে রাজ্যকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেন। বিভিন্ন সংস্থাকে রাজ্যে এসে ডিম উৎপাদন করতে আহ্বান জানান। তাতেই মিলছে সাফল্য। আগামী দিনে ডিম উৎপাদনে রাজ্যকে পুরোপুরি স্বনির্ভর করাই লক্ষ্য সরকারের।
এদিকে এদিনই রাজ্যের কর্মসংস্থানের রাজ্যের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র জানিয়েছে, রাজ্য সরকার ব্যাংকগুলিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে ১০ লক্ষ ১০ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিল। এর মধ্যে ৭০ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা ছ’মাসে ঋণ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৬ মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি টার্গেট পূরণ হয়ে গিয়েছে। অমিত মিত্র জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের হিসাব অনুযায়ীই ১ কোটি টাকা নিনিয়োগ করলে চারটি চাকরি হয়। সেই হিসাবে এই বিপুল বিনিয়োগের ফলে রাজ্যে অন্তত দু’লক্ষ ৮০ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.