স্টাফ রিপোর্টার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিমান বিভ্রাটের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ভাড়া নেওয়া বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা। মঙ্গলবার নবান্নে এই বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট নিয়ে তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে এদিন কলকাতা বিমান বন্দরের প্রশাসনিক দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় বিমানবন্দরের তৃণমূল কর্মচারী সংগঠন।
মুখ্যমন্ত্রী সোমবারই বিধানসভায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় নয়, দু’টি বিমান মুখোমুখি এসে গিয়েছিল। সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেতে পাইলট দ্রুত বিমানটিকে নামিয়ে আনেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “দশ সেকেন্ড দেরি হলেই দুর্ঘটনা যেত। আমাদের প্লেনটি আচমকাই আট হাজার ফুট নেমে যায়।” এর ফলে মুখ্যমন্ত্রীর কোমর ও বুকে চোটও লাগে। কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে কোনও রিপোর্টও পেশ হয়নি। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর বিমান সমস্যার মুখে পড়েছে। তখনও রিপোর্ট জানা যায়নি। নবান্ন সূত্রে খবর, এদিন স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে ঘটনাটি নিয়ে পর্যালোচনা হয়।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট নিয়ে তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে এদিন দমদম বিমানবন্দরের (Dumdum Airport) প্রশাসনিক দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় বিমানবন্দরের তৃণমূল কর্মচারী সংগঠন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের কারসাজি রয়েছে এই ঘটনার পিছনে। নাহলে কেন বারবার মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের ক্ষেত্রেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে? আইএনটিটিইউসি’র (INTTUC) বিমানবন্দরের কন্ট্রাক্টার্স ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সভাপতি ও তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এই ঘটনার পিছনে চক্রান্ত থাকতে পারে। এটিসির দোষ না পাইলটের দোষ, না চক্রান্ত, সেটা তদন্তে উঠে আসুক। যাতে আর কখনও এই ধরনের ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীর বিমানে না ঘটে।”
কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের হাতে স্মারকলিপিও তুলে দেওয়া হয়। সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি বরুণ নট্ট বলেন, “এর পরে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.