Advertisement
Advertisement
West Bengal Doctors

সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ, সরকারি চিকিৎসকদের ‘ফাঁকিবাজি’ রুখতে তৈরি হচ্ছে ডিউটি রস্টার

রোগী অন্য হাসপাতালে রেফার করার ক্ষেত্রেও কড়া নির্দেশিকা আনা হচ্ছে।

West Bengal Health department fixes duty roster for Doctors | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 9, 2022 9:53 pm
  • Updated:March 9, 2022 9:53 pm  

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: বেলাগাম চিকিৎসকদের ‘ফাঁকিবাজি’ রুখতে কঠোর নিয়ম চালু করছে স্বাস্থ্য দপ্তর (Health Department)। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে সপ্তাহে অন্তত ৪০ ঘণ্টা কাজ করতেই হবে। শুধু তাই নয়, এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগী রেফার করার আগে নিশ্চিত করতে হবে শয্যাও পরিকাঠামো যথেষ্ট আছে কিনা? নয়তো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

এসএসকেএম (SSKM), আরজি কর-সহ কলকাতার চারটি মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে এমন নির্দেশ দিয়েছেন দপ্তরের প্রধান সচিব নারায়ণ স্বরুপ নিগম। পরে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, সব মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক থেকে চিকিৎসক সবার জন্য ডিউটি রোস্টার তৈরি হবে। সেই ডিউটি রস্টার থাকবে স্বাস্থ্যভবনেও। একজন চিকিৎসককে সপ্তাহে অন্তত ৪০ ঘণ্টা কাজ করতেই হবে। এই নিয়মের অন্যথা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘নন্দীগ্রামে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চলেছিল’, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে অভিযোগ মমতার]

পাশাপাশি ‘রেফার রোগ’ বন্ধ করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। রেফার করার আগে নিশ্চিত করতে হবে যে হাসপাতালে রোগীকে পাঠানো হচ্ছে সেখানে রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা ও শয্যা আছে কিনা? এই বিষয়টি দেখবেন হাসপাতালের অ্যাসিট্যান্ট সুপার পদের কোনও আধিকারিক। অর্থাৎ ‘রেফার’ লিখে দেওয়ার আগে সবদিক খতিয়ে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক অ্যাসিট্যান্ট সুপারকে। রেফার ও দেরিতে চিকিৎসায় রোগী মৃত্যু ঠেকাতেই স্বাস্থ্য ভবনের এই কঠোর পদক্ষেপ বলেই জানাচ্ছেন সরকারি চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। খুব শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে।

[আরও পড়ুন: ‘শ্রাবন্তী চালাক, যা দেওয়ার দিয়েছে, যা পাওয়ার পেয়েছে’, কেন এমন খোঁচা তথাগতর?]

সরকারের এই নির্দেশিকার ফলে সরকারি ক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে বলে ধারণা চিকিৎসক মহলের। তাছাড়া চিকিৎসকদের মধ্যে রোগীকে রেফার করে দেওয়ার প্রবণতা রোগীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার উদাহরণও অতীতে দেখা গিয়েছে। নয়া নির্দেশিকা কার্যকর হলে সেই সমস্যারও সমাধান ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement