Advertisement
Advertisement

Breaking News

health commission

ভুল রিপোর্ট! কোয়াড্রা মেডিক্যাল সার্ভিসকে ভৎর্সনা, টাকা ফেরতের নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের

রিপোর্টের রেজাল্ট লিখতে গিয়েই গণ্ডগোল।

West Bengal health commission slams Quadra medical services for wrong report | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Suparna Majumder
  • Posted:March 8, 2021 9:26 pm
  • Updated:March 8, 2021 9:26 pm  

অভিরূপ দাস: হওয়া উচিৎ ছিল ৩৫। হয়ে গিয়েছিল ৯২। ক্যান্সার অ্যান্টিজেন সিরাম ১২৫ টেস্টের এমন মারাত্মক ভুল রিপোর্টের জন্য দক্ষিণ কলকাতার কোয়াড্রা মেডিক্যাল সার্ভিসকে ভৎর্সনা করল রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। শুধু তাই নয়, ওই টেস্টের জন্য নেওয়া সম্পূর্ণ টাকা রোগীর পরিবারকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে।

জানুয়ারির শেষ সপ্তাহের ঘটনা। দক্ষিণ কলকাতা গলফ ক্লাব রোডের বাসিন্দা শুভজিৎ রায় তাঁর স্ত্রী রাখি রায়কে নিয়ে আসেন কোয়াড্রায়। তাঁর সিরাম সিএ১২৫ টেস্ট করানোর প্রয়োজন ছিল। কোয়াড্রায় সেই টেস্টের রিপোর্টের ফলাফলে দেখা যায় ৯২ (ইউনিট প্রতি মিলিলিটার)। সাধারণ অবস্থায় যা থাকা উচিৎ ৩৫ (ইউনিট প্রতি মিলিলিটার) এর আশপাশে। অদ্ভুত রিপোর্ট দেখে আতঙ্কিত হয়ে পরেন রাখি দেবী এবং তাঁর পরিবার। সাধারণের থেকে অতিরিক্ত বেশি ওই রিপোর্টের ফলাফল মারণ রোগের ইঙ্গিত দেয়। স্বাভাবিকভাবেই রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল রায় পরিবারের। সন্দেহ হওয়ায় পরবর্তীকালে অন্য মেডিক্যাল সেন্টারে রাখি দেবী ফের ওই টেস্ট করান। অবাক বিষয়! এবারের ফলাফল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। বোঝা যায়, রিপোর্টের রেজাল্ট লিখতে গিয়েই গণ্ডগোল করেছে কোয়াড্রা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্মার্ট কার্ড ছাড়াও এবার কলকাতা মেট্রোয় যাতায়াত, কাউন্টার থেকে ফের মিলবে টোকেন]

তড়িঘড়ি রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে অভিযোগ জানান শুভজিৎবাবু। “কোয়াড্রার এই ভুল রিপোর্টের জন্য দুশ্চিন্তায় দিন কাটছিল। আমার পরিবারের কারও কোনও ক্ষতি হলে তার দায় কে নিত?” এহেন চিঠি পেয়েই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য কমিশন (West Bengal health commission)। ডেকে পাঠানো হয় কোয়াড্রা মেডিক্যাল সেন্টারের অধিকর্তাকে। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ল্যাবরেটরির দোষ প্রমাণিত। যখনই দেখা গেল রিপোর্টের ফলাফল অত্যন্ত অস্বাভাবিক, তাদের উচিৎ ছিল রোগীর পরিবারকে রিপিট স্যাম্পেল টেস্টের অনুরোধ করা। তারা সেটা করেননি। রিপোর্টের টাকাটা আমরা ফেরত দিতে বলছি।”

কমিশন চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানান, প্যাথোলজিকাল রিপোর্টের তলায় সবসময় লেখা থাকে “প্লিজ কো-রিলেট ক্লিনিকালি”। অর্থাৎ চিকিৎসকের সন্দেহ থাকলে কিংবা রিপোর্ট ভুল হলে মেডিক্যাল সেন্টার তা বিনামূল্যে করিয়ে দেবেন। এই নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের লিখিত নিয়মও রয়েছে। কমিশনের রায় শোনার পর রাখি রায় জানান, স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠুক। আমার মতো আর কাউকে যেন হেনস্তা না হতে হয়।

[আরও পড়ুন: বাংলার প্রতিষ্ঠানের তৈরি নাকের ড্রপেই নিকেশ হবে করোনা! নাইপারে’র দাবিতে চাঞ্চল্য ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement