Advertisement
Advertisement

Breaking News

West Bengal Guv CV Ananda Bose

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকে পদত্যাগের নির্দেশ, ফের বিতর্কে রাজ্যপাল

রাজ্যপাল-আচার্যের সমালোচনায় সরব শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

West Bengal Guv CV Ananda Bose orders Jadavpur acting VC to quit post । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 5, 2023 9:26 am
  • Updated:August 5, 2023 9:29 am  

দীপালি সেন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, শুক্রবারই রাজভবনে ডাকা হয়েছিল যাদবপুরের অস্থায়ী উপাচার্য অধ্যাপক অমিতাভ দত্তকে। সেখানে তাঁকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন আচার্য। নির্দেশ মোতাবেক, আগের মতোই সহ-উপাচার্য পদের দায়িত্ব সামলাবেন অমিতাভবাবু। জুনের শুরুতেই যাদবপুরের সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্তকে অস্থায়ী উপাচার্য পদে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল নিজেই। হঠাৎ নিজের নিযুক্ত ব্যক্তিকেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে শিক্ষামহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “উনিই (আচার্য) নিয়োগ করছেন, উনিই তাঁকে ইস্তফা দিতে বলছেন। এই সব নৈরাজ্যের অবসান ঘটাতেই আমরা স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি তৈরি সংক্রান্ত বিল পাশ করিয়েছি।”

শিক্ষা মহলের মতে, যেভাবে রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাতে যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যাবলি পরিচালনায় বিস্তর সমস্যা হবে। এভাবে অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়ে রাজ্যপালের মর্জিমাফিক সিদ্ধান্তকে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’র তকমা দিয়ে শিক্ষাবিদদের একাংশের বক্তব্য, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি করে গোটা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাইছেন আচার্য।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফুলশয্যার রাত কাটতে না কাটতেই নববধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য]

আগেও অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্যের ‘খামখেয়ালিপনা’র একাধিক নিদর্শন রয়েছে। মাকাউটের অস্থায়ী উপাচার্য পদ থেকে আচমকা ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক গৌতম মজুমদারকে সেই পদে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল-আচার্য। যদিও গোটা বিষয়টি রাজ্যপাল-আচার্যের এক্তিয়ারভুক্ত বলেই মত অমিতাভ দত্তের। তাঁর কথায়, “ব্যক্তিগত কোনও মত নেই। রাজ্যপাল আচার্য হিসাবে যেভাবে চাইবেন, সেভাবেই কাজ করব। পুরোটাই ওঁর এক্তিয়ারভুক্ত।”

একমত নন নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি শিক্ষাবিদদের ফোরাম। ‘এডুকেশনিস্ট ফোরামে’র তরফে যাদবপুরের অধ্যাপক ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ক্ষমতা ও কার্যাবলি প্রয়োগকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের ইচ্ছামতো নিয়োগ এবং ইচ্ছামতো অপসারণের বিষয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রকে অস্থিতিশীল করে তোলা ও ধ্বংস করার আচার্যের অভিসন্ধিকেই ব্যক্ত করে।”

যাদবপুরের জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “কোনও শিক্ষাবিদের সঙ্গেই এই আচরণ কাম্য নয়। শিক্ষক হিসাবে মেনে নেওয়া যায় না।” অন্যদিকে, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্য চন্দন বসু এক বিতর্কের জেরে ১৮ জুলাই ইস্তফাপত্র পাঠান। সূত্রে খবর, তা গৃহীত হয়। রেজিস্ট্রারের নির্দেশিকায় বলা হয়, উপাচার্যের লিখিত নির্দেশ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে গণমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলা যাবে না।

[আরও পড়ুন: একই বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় কালাচের বিষাক্ত ছোবল! দম্পতির ‘সহমরণ’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement