কৃষ্ণকুমার দাস: রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী দিল্লি থাকাকালীনই ইঙ্গিত মিলেছিল, রাজ্যে ফিরে সব দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি।সেই মতো এবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য শীর্ষ চার দলের প্রতিনিধিদের বৈঠকে ডাকলেন রাজ্যপাল। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূল এবং সিপিএমের প্রতিনিধিদের। তাঁর এই বৈঠকের ডাক ফের উসকে দিল রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনা। কারণ, দিল্লিতেই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রয়োজনে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতেই পারে।
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিয়ে এসেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ৪৮ পাতার রিপোর্ট দিয়েছেন তিনি। জল্পনা ছিল, বৈঠকে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও, কেশরীনাথ ত্রিপাঠী নিজেই বৈঠক শেষে জানিয়েছিলেন,“রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করার বিষয়টি আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কোনও আলোচনাও হয়নি।” আবার কিছুক্ষণ পরেই একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “ (রাষ্ট্রপতি শাসন) হতেও পারে। যখন দাবি উঠবে, তখন কেন্দ্র নিশ্চয়ই ভেবে দেখবে।” বিজেপি নেতারা ইতিমধ্যেই দিল্লিতে বসে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার ষড়যন্ত্র করে বাংলার সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়েও সন্দেহপ্রকাশ করেছেন মমতা।
এসব জল্পনার মধ্যেই শোনা যায়, রাজ্যে ফিরেই সর্বদল বৈঠক ডাকবেন রাজ্যপাল। তলায় তলায় রাজ্যপাল নাকি রাজ্যে শান্তি ফেরানোর দাবিতে সর্বদল বৈঠকের প্রস্তুতি দিল্লি যাওয়ার আগেই শুরু করেছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটেয় তৃণমূল-বিজেপি-সিপিএম এবং কংগ্রেস প্রতিনিধিদের রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই নাকি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাও করেছেন তিনি। যদিও, তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা এতটাও খারাপ নয় যে সর্বদল ডাকতে হবে। তবে, বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে কোনও দলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.