গৌতম ব্রহ্ম: এবার রাজ্যের হস্তশিল্পী ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য পৃথক শপিং মল তৈরির কথা আগে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘোষণা অনুযায়ী পাঁচতলা শপিং মল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হল এবার। গত ১২ জুলাইয়ের বৈঠকে জেলাশাসকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা রাজ্যের দশটি জেলা শহরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য শপিং মল তৈরির জমি চিহ্নিতকরণের নির্দেশ দিলেন। এই জেলা শহরগুলি হল – আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমান, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, বহরমপুর, দিঘা, মেদিনীপুর, মালদহ, চন্দননগর।
মুখ্যমন্ত্রী চান, এ রাজ্যের তাঁত, বস্ত্রশিল্প, হস্তশিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা হোক আরও বেশি করে। এজন্য পুজোর আগেই দুবাইয়ের মতো রাজ্যে বিশ্ববঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে শো-কেস হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। আলিপুর জেল মিউজিয়ামের পাশে হিডকো একটি মল (Shopping Malls) তৈরি করেছে। পুরোটাই বাংলার হস্তশিল্প ও তাঁত এবং চর্মজাত শিল্পকে নিয়ে। এবার রাজ্যজুড়ে এমন শপিং মল ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিল নবান্ন (Nabanna)।
রাজ্য এই মুহূর্তে গ্রামাঞ্চলে ১২ লক্ষ ৫ হাজার ৯৪৬ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে (Self Help Group) ১ কোটি ২২ লক্ষের বেশি মহিলা সদস্য যুক্ত। শহরাঞ্চলে আরও কয়েক লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। এদের প্রধান সমস্যা হল বিপণন। পর্যটন কেন্দ্রিক জেলা শহরে তাদের বাজার তৈরির করার প্রস্তাব ছিল। কেন্দ্রীয়ভাবে কলকাতায় এই মল তৈরি করা হলেও তা যথেষ্ট নয়। এজন্যই জেলাগুলিতে (Districts) মল তৈরি করতে হবে। যেখানে শুধুমাত্র স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পণ্য থাকবে।
কলকাতার (Kolkata) ঢাকুরিয়ার কাছে দক্ষিণাপনের পাশে বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য চালু হয়েছে নিজস্ব মল। হস্তশিল্প থেকে আচার, পাঁপড়, মোরব্বা-সহ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাত ধরে গড়ে ওঠা বাংলার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পজাত হাজারও সামগ্রী পাওয়া যায় সেখানে। লক্ষ্য, বাংলার নিজস্ব ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে পর্যটকদের সামনে ‘শো-কেস’ করা। আর তাই জেলাতেও ওই রকম মল তৈরি করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাই দশ জেলা শহরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য মল তৈরির জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হল জেলাশাসকদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.