বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বিরোধী বাম ও কংগ্রেসের লাগাতার দাবি মেনে অবশেষে বিধানসভার (Assembly) অধিবেশন বসাতে রাজি রাজ্যের শাসকদল। আগামী ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি – দু’দিনের অধিবেশন হবে বলে জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই অধিবেশনে মূলত কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় সর্বদলীয় প্রস্তাব পাশ করাতে চায় রাজ্য। তবে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিধায়করা গোড়াতেই এর বিরোধিতা করবেন। ফলে সর্বদলীয় প্রস্তাব পাশের বিষয়টি কতদূর ফলপ্রসূ হয়, তা দেখার।
করোনা পরিস্থিতিতে (Coronavirus) গত ৮ মাস ধরে রাজ্য বিধানসভায় সেভাবে কোনও অধিবেশন বসছে না। নভেম্বরে অবশ্য দু’দিনের সংক্ষিপ্ত অধিবেশন হয়েছিল। তবে তাতে কোনও ইস্যু নিয়েই আলোচনা বিশেষ এগোয়নি। সংক্রমণ এড়াতে বহু বিধিনিষেধের মধ্যে কোনওক্রমে অধিবেশনে ইতি টানা হয়েছে। বাম এবং কংগ্রেস উভয় দলই বারবার বিস্তৃত অধিবেশনের দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেয়। সেপ্টেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত আবদুল মান্না, সুজন চক্রবর্তীরা ৪ টি চিঠি লিখেছেন বলে দাবি। তাঁদের দাবি ছিল, কোভিড পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর অন্যান্য রাজ্যে বিধানসভার অধিবেশন হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও অধিবেশন বসুক। বিরোধী নেতাদের দাবি মেনে অবশেষে ২৭, ২৮ তারিখ বসছে অধিবেশন।
কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য সংসদে পাশ হওয়া নয়া কেন্দ্রীয় কৃষি আইন (Farm Law) বিধানসভার অধিবেশনের মুখ্য ইস্যু হতে চলেছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় পাঞ্জাব ও কেরল বিধানসভায় সর্বদলীয় প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যেও সেটাই করাতে চায় শাসকদল। এই ইস্যুতে বাম এবং কংগ্রেস শাসকদল তৃণমূলকে সমর্থন জানালেও বিজেপি নিশ্চিতভাবেই বেঁকে বসবে। ফলে সর্বদলীয় প্রস্তাব পাশ করাতে বেশ বেগ পেতে হবে শাসকদলকে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, মাত্র ২ দিনের অধিবেশনে সন্তুষ্ট নন বামেরা। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, ”২ দিনে নয়, আমরা চাই ২ সপ্তাহ ধরে অধিবেশন হোক। কারণ, শুধু তো কৃষি আইন নয়, একাধিক ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন। গত ৮ মাস ধরে অধিবেশন হয়নি। অনেক বিষয় জমে রয়েছে আলোচনার। সেসব না করা হলে বুঝব, সরকার পালিয়ে যেতে চাইছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.