স্টাফ রিপোর্টার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গত ৩০ জুন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। যে কার্ডে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করছে প্রায় ২৬ হাজার ছাত্রছাত্রী। নবান্নের হিসাব, যত সংখ্যক আবেদনপত্র জমা পড়েছে তার জন্য ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৪০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) জানিয়েছেন, রাজ্যে পড়াশোনা করার জন্য আবেদন করেছেন ১৯,৯৪৮ জন। রাজ্যের বাইরে পড়ার জন্য আবেদনের সংখ্যা ৫,৮৯৯।
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড (Student credit card) পড়ুয়াদের ঠিক কতটা সাহায্য করবে, তা গত কয়েকদিনের আবেদনপত্র দেওয়ার আগ্রহেই প্রমাণিত। মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পের সূচনা করার পর শিক্ষা দপ্তর প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ব্রাত্যবাবু জানান, ৯ জুলাই পর্যন্ত মোট আবেদন জমা পড়েছে ২৫,৮৪৭টি। যার মধ্যে রয়েছে ১৬,৩৮৪ জন ছাত্র এবং ৯,৪৬১ জন ছাত্রীর আবেদন। উচ্চশিক্ষার জন্য যে টাকা লাগে তা এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর্থিক সমস্যার জন্য রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে আর কোনও অসুবিধা যাতে না হয়, সেই কারণেই এই ব্যবস্থা। প্রকল্পের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যে ১০ লক্ষ টাকা ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তার জন্য কোনও গ্যারান্টার লাগবে না। রাজ্য সরকার এই ঋণের জন্য গ্যারান্টার থাকবে। এই টাকায় উচ্চশিক্ষা, টিউশন ফি থেকে শুরু করে কম্পিউটার কেনা, পড়াশোনার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা সুবিধা পাবেন।
দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকেই এই ঋণ মিলবে। বিশেষ করে যাঁরা অর্থের কারণে উচ্চশিক্ষা করতে পারেননি, তাঁদের এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিশেষ সুবিধা দেবে বলে আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত কার্ডের সুবিধা মিলবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এই ক্রেডিট কার্ডে ঋণের মেয়াদ ১৫ বছর। রাজ্যের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি কো-অপারেটিভ ব্যাংক থেকে এই ঋণ পাওয়া যাবে। এছাড়াও অন্যান্য ব্যাঙ্কিং সেক্টর থেকেও ঋণ মিলবে। নবান্ন সূত্রে খবর, অনলাইনে আবেদনপত্র নেওয়া হচ্ছে। আবেদনপত্র পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখে ব্যাংকের কাছে সরাসরি ঋণ পাওয়ার জন্য এই আবেদন পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য ছাত্রছাত্রীরা আবেদন করেছেন, ঋণের টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে সেই প্রতিষ্ঠানগুলিতে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.