সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেপ্তারি মামলায় হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্যে। ৬৫ জন মামলাকারীর ভূমিকা প্রমাণ করতে পারবে রাজ্য সরকার? সকলে যে গন্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত, জানলেন কী করে? জানতে চাইলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। বুধবার শুনানি চলাকালীন এজলাসে বসেই ল্যাপটপে সিদ্দিকির ভাষণের ভিডিও দেখেন তিনি। এরপরই বিচারপতি বসাকের প্রশ্ন, “পুলিশকে মারতে বলছে সেই প্রমাণ কোথায়?”
ধর্মতলায় অশান্তির ঘটনায় বেশ কিছুদিন আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিক্কিকে। আপাতত জেলেই রয়েছেন তিনি জামিনের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইএসএফের বিধায়ক। এদিন কলকাতা হাই কোর্টের দুই বেঞ্চে নওশাদের মামলার শুনানি ছিল। এর মধ্য়ে বিচারপতি বসাক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেন রাজ্যকে।
বিচারপতির প্রশ্ন, “৬৫ জন মামলাকারী রয়েছেন, প্রত্যেকের ভূমিকা পালন করতে পারবেন তো?” তাঁর আরও প্রশ্ন, “সবাই যে গণ্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, সেটা কী করে জানলেন? কেউ হয়তো পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। কেউ হয়তো গণ্ডগোলের সময় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর এই গণ্ডগোলে কী ভূমিকা থাকতে পারে?” শুধুমাত্র রাজ্য নয়, নওশাদের আইনজীবীকেও প্রশ্নবাণে জর্জ্জরিত করেন বিচারপতি। রাজ্য় যদি প্রমাণ করে দেয় নওসাদের উসকানিমূলক মন্তব্যেই এই ঘটনা ঘটেছে, তাহলে কী করবেন? বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে নওশাদের আইনজীবীর দাবি, নওশাদের উসকানিমূলক আচরণের কোনও প্রমাণ নেই। এরপরই ল্যাপটপে বিধায়কের গোটা ভাষণ শোনেন বিচারপতি। এরপরই রাজ্যকে বিচারপতির প্রশ্ন, পুলিশকে মারতে বলছে সেই প্রমাণ কোথায়?
অন্যদিকে এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তার ডিভিশনে বেঞ্চে ভাঙড়ের বিধায়কের জামিনের শুনানি ছিল। সেই মামলায় রাজ্য রিপোর্ট জমা করেছে। তবে এদিনও তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.