গৌতম ব্রহ্ম: ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্রকে ফের চিঠি দিল নবান্ন (Nabanna)। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজে রাজ্যের প্রাপ্য ৬৮০০ কোটি টাকা। যা না পাওয়ায় অসংগঠিত ক্ষেত্রে বহু মজদুর বিপাকে। কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও কেন এখনও বকেয়া দেওয়া হচ্ছে না, এই প্রশ্ন তুলে চিঠি দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে (Ministry of Panchayet and Rural Developement)। আবাস যোজনা নিয়েও একই সুরে অভিযোগ জানানো হয়েছে চিঠিতে। বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে প্রায় সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে নবান্ন। তা সত্ত্বেও কেন এখনও উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কাজ শুরু হল না?
দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বৃহস্পতিবার এই খবর জানিয়ে বলেছেন, এদিনই রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কবে প্রাপ্য টাকা পাওয়া যাবে, সে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাতে। কেন রাজ্য সমস্ত শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও রাজ্যের উপভোক্তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, সেই অভিযোগও তোলা হয়েছে চিঠিতে।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, আবাস যোজনায় বাড়তি কোটা চাওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, কেন্দ্র বাংলার জন্য প্রায় ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি বরাদ্দ করেছিল। তার সিংহভাগই তালিকাভুক্ত করার কাজ শেষ করেছে রাজ্য। জমি সমস্যার জন্য কয়েকটি ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়েছে, যেগুলো কাটানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখনও প্রায় ২০ হাজার আবেদনকারীর নাম রয়েছে আবাস যোজনায় (Awas Yojona)। এদের যাতে যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তার জন্য বাড়তি ‘কোটা’ চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। কেন্দ্র রাজি হলে আরও অনেক মানুষ উপকৃত হবেন। প্রদীপবাবুর পর্যবেক্ষণ, ”২২-এর মধ্যে দেশের সমস্ত মানুষের মাথার উপর ছাদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে গেলে রাজ্যগুলিকে আরও বেশি করে কোটা বরাদ্দ করা ছাড়া উপায় নেই কেন্দ্রের। কেন্দ্র সবুজ সংকেত দিলে এই ২০ হাজারের মধ্যে থেকে আমরা উপযুক্ত আবেদনকারীকে বেছে নেব।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই আবাস নিয়ে কেন্দ্র ৪৯৩ পাতার একটি চিঠি দেয় রাজ্যকে। তাতে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ তুলে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। রাজ্য ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। বেশ কিছু রিপোর্ট জেলাশাসকদের (DM) কাছে থেকে চাওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় চিঠি পাঠিয়ে কেন্দ্রকে পালটা চাপ দেওয়ার কৌশল রাজ্য নিচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.