অর্ণব আইচ: ফেল করল চার। পাস করল বাকি সাত। শব্দবাজি নিষিদ্ধ। ফাটানো যায় না চকোলেট বোমা, দোদোমা। তাই বাজিপ্রেমীদের প্রিয় হয়ে উঠেছে ‘শেল’। আবার বিভিন্ন ধরনের আতশবাজিও পছন্দ শহরবাসীর। সোমবার বাজারে নতুন আসা ১১টি বাজির পরীক্ষা হল টালা পার্কে। বেশিরভাগই ‘শেল’। তার মধ্যে ফেল করল ‘ওক বাকটারস’, ‘ফিফটিন শট’, ‘অনিরুধ শেল’, ‘মেগা সিরিজ’। এই বাজিগুলিতে আগুন দেওয়ার পরই প্রচণ্ড শব্দ করে ফাটতে থাকে। অভিযোগ উঠেছে, শব্দের মাত্রা ৯০ ডেসিবেলের বেশি। তাই বাজির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সেগুলি।
এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার ময়দানে বাজি বাজারের অনুমতি দেয়নি। সেই জায়গায় কোথায় বাজির বাজার বসবে, তা নিয়ে এদিনও লালবাজারে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বাজি বিক্রেতাদের আলোচনা হয়। সেখানে বাজি বিক্রেতাদের পক্ষে বলা হয়, দক্ষিণ কলকাতার সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে বিবেকানন্দ পার্কটিই বাজি বাজারের জন্য তাঁদের বেশি পছন্দ। সেখানে বাজি বাজার হলে কী ধরনের সুবিধা ও অসুবিধা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভা চূড়ান্ত অনুমতি দিলে বিবেকানন্দ পার্কে বাজির বাজার বসতে পারে।
সোমবার দুপুরে টালা পার্কে বাজি পরীক্ষায় হাজির ছিলেন পুলিশ, দমকল, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকরা। গত বছর একটি বাজি ফেল করেছিল। তখন যে বাজিগুলি পাস করেছিল, সেগুলি ময়দানের বাজি বাজারে বিক্রি হয়। এই বছর নতুন কিছু বাজি নিয়ে আসা হয় বাজারে। সেগুলির মধ্যে চারটি মাটিতে প্রচণ্ড শব্দ করে ফেটে উপরে উঠে যায়। বাকি সাতটি হচ্ছে ‘বিনায়গ ১৫ শট’, ‘সিলভার ট্রি’, ‘স্টার টোন’, ‘ক্র্যাকলিং ফাউন্টেন’, ‘জিগ জ্যাগ মাল্টি কালার’, ‘অনিরুধ’, ‘মেট্রোপলিস’। এগুলির মধ্যে যেগুলি শেল, সেগুলি মাটিতে ফাটলেও তার শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেলের কম। বাকিগুলি আলো তৈরি করে, এমন আতশবাজি। সেগুলি পাস করেছে। এই বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, বেরিয়ামের তৈরি আতসবাজিও পোড়ানো যাবে না। যদিও বাজি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যে আতসবাজি তৈরি করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে প্রায় প্রত্যেকটিই বেরিয়াম দিয়ে তৈরি। এমনকী, ফুলঝুরি বা রংমশালও। এই বছর পরিবেশ বান্ধব আতশবাজি কীভাবে নতুন করে তৈরি করা হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বলে জানিয়েছেন বাজি ব্যবসায়ীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.