দীপঙ্কর মণ্ডল: আশঙ্কাই সত্যি হল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে ফের পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তাঁর গাড়ি প্রবেশ করা মাত্রই পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সঙ্গে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। রাজ্যপালের নিরাপত্তারক্ষীরাও এই জমায়েত কাটিয়ে গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না। ফলে বৈঠকে যোগ দিতে না পেরে গাড়ির ভিতরেই আটকে রয়েছেন রাজ্যপাল।
মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। বিধি অনুযায়ী, আচার্য ছাড়া বিশেষ সমাবর্তন হতে পারে না। কিন্তু যাদবপুরের এসএফআই প্রভাবিত ছাত্র সংগঠনের অধিকাংশই আচার্য হিসেবে জগদীপ ধনকড়কে চাইছেন না। তাই তিনি ক্যাম্পাসে এলে অশান্তি ছড়াতে পারে, এই আশঙ্কায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানই স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলর বৈঠকে। আজ, কোর্টের বৈঠকে তা পাশ করিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা করার কথা ছিল। এই বিষয়টি রাজ্যপালের কানে পৌঁছতে তিনি সমাবর্তন স্থগিত করার সিদ্ধান্তের তুমুল বিরোধিতা করে কোর্ট বৈঠকে নিজে হাজির থাকার কথা ঘোষণা করেন। সেই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেন।
সোমবার দুপুর দু’টো নাগাদ আচার্য জগদীপ ধনকড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছতেই পড়ুয়ারা তাঁর পথ রোধ করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকে। তাঁদের অভিযোগ, আচার্য হিসেবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখছেন না ধনকড়। তাঁরা এই আচার্য চান না। এসব প্রকাশ্যেই বলতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। এসএফআই এবং শিক্ষাবন্ধু সমিতির সদস্যরাই মূলত বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
তাঁরা আরও অভিযোগ তুলেছেন, সম্প্রতি পাশ হওয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ধনকড়ের ভূমিকাকে তাঁরা সমর্থন জানাতে পারছেন না। এঁদের বিক্ষোভের জেরে রাজ্যপলের গাড়ি এগোতে বাধা পায়। ফলে অরবিন্দ ভবন অর্থাৎ যেখানে বৈঠক হচ্ছে, সেই পর্যন্ত তিনি পৌঁছতে না পেরে গাড়িতেই বসে ছিলেন প্রায় ঘণ্টা খানেক। তারপর নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে আচার্যকে পৌঁছে দেন অরবিন্দ ভবনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.