দীপঙ্কর মণ্ডল: আরও একবার নতুন করে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন রাজ্যপাল। কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণে মন্ত্রীদের নাম রয়েছে ঠিকই। তবে আমন্ত্রণপত্রে নেই আচার্য তথা রাজ্যপালের নাম। তাতেই ক্ষুব্ধ জগদীপ ধনকড়। বুধবার সকালে টুইটে উষ্মাপ্রকাশ করেন তিনি।
কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সাজো সাজো রব বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমন্ত্রণের কাজও প্রায় শেষ। আমন্ত্রণপত্রে নাম রয়েছে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ-সহ একাধিক মন্ত্রীর। তবে তাতে নাম নেই আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। নিয়মানুযায়ী, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের আগে আচার্য তথা রাজ্যপালের সম্মতি নিতে হয়। তাঁর সম্মতি নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান করা সম্ভব। এমনকী, আচার্যের উপস্থিতি ছাড়া সমাবর্তন কার্যত অসম্ভব। তবে এক্ষেত্রে অনুমতি তো দূরের কথা, আমন্ত্রণপত্রেও নেই জগদীপ ধনকড়ের নাম। তাতেই বিরক্ত আচার্য। বুধবার সকালে টুইটে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
রাজ্যপাল তথা আচার্য ধনকড় লেখেন, “কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন ১৪ ফেব্রুয়ারি। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। অথচ আচার্য হওয়া সত্ত্বেও আমি সমাবর্তনের কথা জানিনা। এ আমরা কোথায় আছি?”
Cooch Behar Panchanan Barma University Convocation will be held on Feb 14. Ministers Partha Chatterjee, Goutam Deb, Rabindra Nath Ghosh and Binay Krishna Barman are invited for the Convocation. Chancellor, who has right to preside, has just no information !Where are we heading !
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 12, 2020
রাজনৈতিক মহলের মতে, আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের শিক্ষাক্ষেত্রে অতিরিক্ত আনাগোনা মোটেও পছন্দ নয় রাজ্য সরকারের। একাধিক বিষয়ে অসন্তোষ লেগেই রয়েছে। যাদবপুর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনেও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা বিক্ষোভ সামাল দিতে কোনও উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ রাজ্যপালের। রাজ্য বিধানসভায় বিল পাশ করে শিক্ষাক্ষেত্রে আচার্যের ক্ষমতা খর্ব করে রাজ্য সরকার। তারপরেও উপাচার্যদের রাজভবনে বৈঠকে ডাকেন জগদীপ ধনকড়। যদিও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না কেউই। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, রাজ্য সরকারের অনুমতি না থাকায় কোনও উপাচার্যই নাকি রাজভবনের বৈঠকে যাননি। শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আগুনে ঘৃতাহুতির মতো কাজ করল পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। বিধানসভার বাজেটের প্রারম্ভিক ভাষণের সম্প্রচার বিতর্কের মাঝেই আবারও সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্রে নাম না থাকার ঘটনা রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের তালিকাকে লম্বা করল বলাই যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.