স্টাফ রিপোর্টার: নিয়ম পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালানো। কিন্তু অফিস টাইমে ব্যস্ত সময়ে বহু বাসে (Bus) দেখা যাচ্ছে বাদুড়ঝোলা ভিড়। আর তা থেকেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ফের করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের । ফলে বহু যাত্রীই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিষয়টি নিয়ে। আর তাই এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে পরিবহণ দপ্তর (Transport depertment)। এবার বাসে পঞ্চাশ শতাংশের অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হলে প্যানডেমিক আইনে সেই বাসের ড্রাইভার ও কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা পরিষ্কার জানিয়ে দেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি আরও বলেন, “বেসরকারি বাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পেলে সেই বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যাত্রীদের টিকিট দেখিয়ে সেই বাসের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানাতে হবে। আর বাড়তি যাত্রী তুললে সেই বাসের ড্রাইভার এবং কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধেও অতিমারী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পরিবহণমন্ত্রী জানান, রাস্তায় পর্যাপ্ত বাস চলছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ। ফলে বেশি মানুষের তো বাইরে অপ্রয়োজনে বেরনোর দরকার নেই। আর বাসে ভিড় দেখলে তাতে যাত্রীদেরও ওঠার দরকার নেই।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে অনেকদিন ধরেই বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন বাস মালিকরা। কিন্তু রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবেই বাসভাড়া বাড়ায়নি। যেকারণে রাজ্যে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পরও ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড় বাস মালিকরা গাড়ি নামাতে রাজি ছিলেন না রাস্তায়। কিন্তু পরে নিজেরা বাস নামালেও অধিকাংশ রুটেই নেওয়া শুরু হয় বাড়তি ভাড়া। যা এখনও চলছে। পাশাপাশি সরকার পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী তোলার কথা বললেও সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না। তাই এ বিষয়ে কঠোর হচ্ছে সরকার।
তবে তাতে ক্ষুব্ধ বেসরকারি বাস মালিকরা। অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আইনের চোখে বাড়তি ভাড়া নেওয়াটা বেআইনি। কিন্তু আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য নেই। সে কারণেই এটা হচ্ছে। আর এই ভাড়ায় পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী তুলে গাড়ি চালাতে হলে সে গাড়ি আর চলবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.