Advertisement
Advertisement

Breaking News

West Bengal government

সরকারি জমিতে থাকা ধর্মীয় কাঠামো সরাতে হবে, ৮ জেলাশাসককে নির্দেশ নবান্নের

সরকারি জমিতে থাকবে না মন্দির-মসজিদ!

West Bengal government to remove religious places from public spot | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 28, 2022 9:54 pm
  • Updated:January 28, 2022 9:54 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: কয়েকটি জেলায় সরকারি জমি বা ‘পাবলিক প্লেস’ (Public Place) দখল করে তৈরি হওয়া ধর্মীয় কাঠামো-সহ অন্যান্য দখলদারি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল নবান্ন। সরকারি নীতি অনুযায়ী দখলদারি সরিয়ে ফেলে দ্রুত সেই রিপোর্ট পাঠাতে হবে প্রশাসনের সদর দপ্তরে। আট জেলার জেলাশাসকদের এই বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে খবর।

সরকারি জমি বা জনসাধারণের ব্যবহার করার জায়গায় গজিয়ে উঠেছে অবৈধ দখলদার। মন্দির বা মাজারের মতো ধর্মীয় কাঠামোও রয়েছে। তার ফলে জনস্বার্থে নেওয়া বেশ কিছু পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হয়। রাস্তা সম্প্রসারণ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় সরকারকে। মানুষের জন্য নেওয়া পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্পগুলি আটকে যায়। পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন সেই এলাকার মানুষই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার শ্রদ্ধার্ঘ্য, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামে রাস্তার নামকরণের ঘোষণা ফিরহাদের]

এবার তাই এই সমস্যা মেটাতে তৎপর হচ্ছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের আটটি জেলায় এই ধরনের কাঠামো সরিয়ে দিতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ার, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার ও কালিম্পংয়ের জেলাশাসকদের জানানো হয়েছে, সরকারি নীতি অনুযায়ী এই কাজ করতে। বাম আমলে (Left Front) এই সরকারি নীতি নেওয়া হয়েছিল। ২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল যে গেজেট নোটিফিকেশন করেছিল তৎকালীন সরকার। সেই অনুযায়ী ‘অন রিমুভাল অফ আনঅথরাইজড টেম্পলস অ্যান্ড স্রাইনস, এটস্যাটরা ফ্রম পাবলিক প্লেসেস’ নীতি মেনেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।

[আরও পড়ুন: রাজ্যের ৪ পুরনিগমের ভোটের ফলপ্রকাশ কবে? বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিনক্ষণ ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের]

স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দপ্তরের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি নির্মাল্য ঘোষাল জেলাশাসকদের চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি তার প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি (DG) ও আইজি–কেও (IG)। অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা যেন ওই আট জেলার পুলিশ কমিশনার এবং জেলার পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন যাতে তাঁরা সরকারি নীতি অনুযায়ী দখলদারি সরানোর সময় জেলাশাসকদের সহায়তা করেন। কাজ কতটা হয়েছে, তা জানিয়ে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট পাঠাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement