সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে (Lockdown) একে আয় কমেছে অনেকের। CESC’র মাত্রাতিরিক্ত বিলের বোঝায় নাজেহাল মধ্যবিত্ত থেকে সেলিব্রিটি সকলেই। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবারই বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার দুই কর্তা। কেন বেশি বিদ্যুতের বিল এসেছে, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তাঁরা। শনিবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েও একই কথা জানিয়েছে ওই সংস্থা। তবে তাতে সন্তুষ্ট নয় রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, ওই বিদ্যুৎ সংস্থাকে অ্যাডভাইজরি পাঠাতে চলেছে নবান্ন।
সূত্রের খবর, CESC’কে যে অ্যাডভাইজরি পাঠাতে চলেছে রাজ্য, তাতে যথেষ্ট কড়া হুঁশিয়ারি থাকবে। তাতে বলা হবে, আগামী এক মাসের মধ্যে বিলের ভুল ত্রুটি ঠিক করতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে কোনও গ্রাহকের ক্ষেত্রে বিল বাবদ টাকা নেওয়া যাবে না। যদি কোনও গ্রাহক মাত্রাতিরিক্ত বিল মেটাতে না পারেন, তবে তাঁর বিদ্যুতের লাইন কাটা যাবে না।
আমফানের (Amphan) সময় শহরাঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে গিয়ে প্রায় ‘ব্যর্থ’ হয়েছিল CESC। ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল আমজনতা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও মাত্রাতিরিক্ত বিলের ঘটনা। যা থেকে রেহাই পাননি খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রী থেকে অভিনেতারাও। শুক্রবার বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন CESC’র দুই কর্তা। কেন এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে, তার কারণও ব্যাখ্যা করেন তাঁরা।
CESC’র দাবি, করোনা সংক্রমণের জেরে মার্চ থেকে লকডাউন (Lockdown) জারি করা হয়। তার ফলে বেশ কয়েকমাস বন্ধ ছিল মিটার রিডিং নেওয়া। স্বাভাবিকভাবেই এপ্রিল ও মে মাসে অনুমানের ভিত্তিতে বাৎসরিক গড়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের নিরিখে বিল পাঠানো হয়েছে। তবে তা বিদ্যুৎ ব্যবহারের তুলনায় অনেক কম। জুন থেকে ফের মিটার রিডিং শুরু হয়েছে। বাড়তি ইউনিট বিলে যুক্ত হয়েছে। তার উপর আবার গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ খরচ হয় তুলনামূলক বেশি। তাই অতিরিক্ত বিল দেখে বিরক্ত হচ্ছেন গ্রাহকরা।
যদিও গ্রাহকদের দাবি, আগেও গ্রীষ্মকাল এসেছে। সেই সময় একইরকম বৈদ্যুতিন সামগ্রী ব্যবহার করেও এত বিল আসেনি। তাহলে চলতি বছর এত টাকা বিল আসছে কেন? তাই দফায় দফায় CESC’র বিভিন্ন দপ্তরে ভিড় জমিয়ে বিক্ষোভও দেখান গ্রাহকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.