Advertisement
Advertisement
নতুন পেনশন কাঠামো

পুজোর আগে সুখবর, বাড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পেনশন

নতুন কাঠামোয় ন্যূনতম ৮৫০০ টাকা পেনশন পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।

west bengal government announces revised pension structure on Tuesday
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:October 1, 2019 8:13 pm
  • Updated:October 1, 2019 8:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর মুখেই সুখবর পেলেন রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা। তৃতীয়ার দিন, মঙ্গলবার নতুন পেনশন কাঠামোর নির্দেশিকা জারি করা হল নবান্নের তরফে। যার জেরে দেবীপক্ষের মধ্যেই হাসি ফুটেছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মুখে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন কাঠামো অনুযায়ী পেনশন পাবেন অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।

[আরও পড়ুন: এনআরসি’র আগেই নাগরিকত্ব বিল, নেতাজি ইন্ডোরে ঘোষণা অমিত শাহের]

মঙ্গলবার দুপুরে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকা বেসিক পেনশনের ২.৫৭ গুণ বেশি পাওয়া যাবে নতুন কাঠামোয়। ওই সময় পর্যন্ত যদি যিনি ৩৩০২ টাকা পেনশন পেতেন নতুন নিয়মে তিনি ৮৪৮৬.১৪ টাকা পেনশন পাবেন। যদিও তাঁকে রাউন্ড ফিগারে ৮৫০০ টাকা দেবে রাজ্য সরকার। আর এটাই ন্যূনতম পেনশন হবে বলে জানা গিয়েছে। আর সর্বোচ্চ পেনশন পরিমাণ ৩৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ ৫০০ টাকা করা হয়েছে।

Advertisement

নতুন নির্দেশিকায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যে সমস্ত পেনশন প্রাপকদের বয়স ৮০ থেকে ৮৫ বছরের মধ্যে তাঁরা বর্ধিত পেনশনের উপর আরও ২০ শতাংশ বেশি টাকা পাবেন। ৮৫ থেকে ৯০ বছর বয়স হলে তা বাড়বে আরও ১০ শতাংশ। ৯০ থেকে ৯৫ বছর বয়সীরা পাবেন অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ। আর কারও বয়স যদি ১০০ পেরিয়ে যায় তাহলে তাঁর পৌঁছবে আরও ১০০ শতাংশ বেশি টাকা।

pension

[আরও পড়ুন:জল্পনার অবসান, অমিত শাহর উপস্থিতিতে বিজেপিতে সব্যসাচী দত্ত]

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি কর্মী সংগঠনের সভায় এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকেও আক্রমণ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘ভোটের আগে কেউ কেউ প্ররোচনা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যখন বর্ধিত হারে ডিএ দিচ্ছে, তখন আমরা পাচ্ছি না কেন? তা নিয়ে জলঘোলা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, আপনারা জেনে রাখুন, বাংলা ছাড়া কোনও জায়গায় পেনশন স্কিম নেই। আর কেন্দ্রে তো কন্ট্রিবিউটারি স্কিম। স্টক মার্কেটে লাগিয়ে তারপর টাকা দেওয়া হয়। কর্মীদের স্বার্থে আমরা পেনশন তুলিনি। যদি তুলে দিতাম তাহলে আমার প্রায় অনেক টাকা বেঁচে যেত।এত ধার সত্বেও আমি চালিয়ে যাচ্ছি। মাসের এক তারিখে মাইনে থেকে শুরু করে হেলথ স্কিম, ছুটি সব দেওয়া হয়েছে। অনেকে অনেক কিছু নিয়ে খেলাতে চায়। আমি যেটুকু বলার সেটুকুই বলি। যেটা বলব সেটা করব। ভোটের সময় এক বলব, ভোটের পর হাওয়া হয়ে যাব, সেটায় আমি রাজি নই।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement