ফাইল ছবি
বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বিমানের এক টাকার পালটা কংগ্রেসের কোটি। দুই শরিকের বাদানুবাদে জোটে তিক্ততা ঊর্ধ্বমুখী। বাম ও কংগ্রেসের (Congress) মধ্যে এইভাবে তিক্ততা বাড়তে থাকলে জোট কি আদৌ সূর্যের আলো দেখবে? উঠছে প্রশ্ন।
জোটের দুই শিবিরের মধ্যে আসনরফা নিয়ে এখনও শুরু হয়নি আলোচনা। চলতি মাসের শেষ থেকে এই কথাবার্তা শুরু হওয়ার কথা। তার আগে জোটের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো (Nepal Mahato)। জেলায় ফরওয়ার্ড ব্লককে একটা আসনও ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এই বক্তব্যে জোটের মধ্যে জটিলতার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে যখন দুই শিবিরের মধ্যে কথাবার্তা চলছে ঠিক তখনই পালটা আক্রমণে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।সোমবার পুরুলিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে নাম না করেই নেপাল মাহাতোকে এক টাকার নেতা বলে তোপ দাগেন বিমান। জোটে আসনরফা নিয়ে যখন আলোচনা শুরু হওয়ার কথা তখন বর্ষীয়ান এই বাম নেতার মুখ থেকে এমন মন্তব্য শুনে ক্ষুব্ধ বিধান ভবন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কংগ্রেস শিবিরের বাক্যবাণে বিদ্ধ বিমান বসু (Biman Bose)।
এদিন প্রথম সরব হন কংগ্রেসের প্রয়াত প্রাক্তন সভাপতি সোমেন মিত্রর পুত্র রোহন মিত্র (Rohon Mitra)। নেপাল মাহাতোকে নিয়ে বিমান বসুর পালটা সোশ্যাল মিডিয়ায় রোহন মিত্র লেখেন, ”কংগ্রেস নেতারা টাকার নেতা নন। বামেরা হতে পারে। নেপালবাবু এক পয়সারও নেতা নন। আপনি এক টাকার বলেছেন।” উলটে সিপিএমের বিরুদ্ধেই টাকা নেওয়ার অভিযোগ তোলেন প্রদেশ কংগ্রেসের এই সাধারণ সম্পাদক। তিনি লেখেন ”আপনারা তো অন্য দলের লোকের থেকে টাকা নেওয়া কয়েক কোটি টাকার নেতা। নেপালবাবু টাকার নেতা নন। পুরুলিয়ার কংগ্রেস কর্মীরা মানবে না।”
যদিও বিষয়টি নিয়ে বেশি জলঘোলা হোক, চাইছে না বাম শিবির। বিধানভবনের নেতারাও একমত। জোটপন্থী নেতাদের মতে, জোট ভেঙে গেলে আখেরে লাভ বিজেপির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.