সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মদের দোকান খোলার পরই রেকর্ড। মাত্র ১০ ঘণ্টাতেই ১০০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হল বাংলায়। কয়েক ঘণ্টাতেই ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠল। সোমবার বিকেল ৩টে থেকে মদ বিক্রি শুরু হয়। এরপর, মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে ৭ ঘণ্টার জন্য খোলে মদের দোকান। দিনের শেষে দেখা যায়, শুধু মঙ্গলবারই ৬৫ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে।
ভারতে তৈরি বিদেশী মদ এবং দেশীয় লিকার, দুই মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে মদ বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪০-৪৫ কোটি টাকা। এই শিল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার ১৬ হাজার থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা আয় করে। রিটেলার ও হোলসেলারদের মতে, ৪০ দিনের ক্ষতি পূরণ করে দিয়েছে গত দু’দিনের ব্যবসা। কলকাতার কোনও কোনও দোকানে তো ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে মঙ্গলবার। রিটেলাররা মনে করছেন, সোমবার বেলা ৩টের পরিবর্তে যদি গোটা দিন দোকান খোলা থাকত, তবে ব্যবসা ছাড়িয়ে যেত ১২৫ কোটি টাকা।
এক খুচরো বিক্রেতা জানিয়েছেন, “মঙ্গলবার রাজ্যের আড়াই হাজার মদের দোকানের মধ্যে ১৭০০-১৮০০টি দোকান খোলে। সোমবার সংখ্যাটি ছিল প্রায় ১৩০০-১৪০০। দেরি নির্দেশ আসার কারণে সোমবার কলকাতা এবং হাওড়ার অনেকগুলি আউটলেটগুলি খুলতে পারেননি দোকানদাররা।” কলকাতায় মঙ্গলবার প্রায় ৫০-৫৫টি অফ-শপ ব্যবসা করেছে, যা সোমবারের চেয়ে প্রায় ২০টি বেশি। এই আউটলেটগুলির বেশিরভাগ মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার। কনটেনমেন্ট জোনের নির্দেশিকা মেনে উত্তর কলকাতায় প্রায় পাঁচটি দোকান খোলার অনুমতি ছিল। আবগারি দপ্তরের সূত্র খবর, মাঝারি আকারের বেভকো (Bevco) গুদামগুলিতে সোমবার ও মঙ্গলবার, প্রতিদিন গড়ে ১-১.৫ কোটি টাকার বিক্রি হয়েছে। এছাড়া কাশীপুর, খড়গপুর ও পাঁচলার তিনটি বড় গুদামে এই দু’দিনে ব্যবসা হয়েছে তিন কোটিরও বেশি। বেভকোর এক কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের কাছে এখনও ৪-৫ দিনের মতো মদ মজুত রয়েছে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার ৯ এপ্রিল থেকে মদের উপরে অতিরিক্ত ৩০% বিক্রয় কর আরোপ করে। কিন্তু মদের বোতলগুলিতে নতুনভাবে লেবেলিং করার জন্য পর্যাপ্ত স্টিকার না পাওয়ায় কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন বিক্রেতারা।। ফলে দোকানের সামনে দামের চার্ট বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.