Advertisement
Advertisement
মমতা

নীতি আয়োগের পর এবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকেও যাচ্ছেন না মমতা

এর ফলে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Mamata Banerjee will not attend meeting of all political parties.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:June 18, 2019 4:36 pm
  • Updated:June 18, 2019 4:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর ডাকে ফের সাড়া দিলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বদলীয় বৈঠকে যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলের প্রধানদের কাছে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রল্লাদ যোশী। ১৯ জুন অর্থাৎ বুধবার দিল্লিতে ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তাতে যাচ্ছেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারের ওই বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় হল ‘এক দেশ, এক নির্বাচন‘। বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন একসঙ্গে করার জন্য সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় কেন্দ্র। এই কারণেই বাদল অধিবেশনের আগে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।

[আরও পড়ুন- দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের স্বীকৃতি, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হচ্ছেন অধীর]

মঙ্গলবার তাঁকে পাঠানো আমন্ত্রণের জবাবে প্রল্লাদ যোশীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাতে তিনি জানিয়েছেন, ১৯ তারিখ পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী তাঁর কিছু কাজ আছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে যেতে পারছেন না তিনি।

Advertisement

তাঁর মতে, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর মতো বিষয়ে এত কম সময়ের নোটিশে আলোচনা সম্ভব নয়। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে সংবিধান ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ-সহ সব দলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। তড়িঘড়ি এবিষয়ে না এগিয়ে সমস্ত দলকে একটি শ্বেতপত্র বিলি করার জন্য অনুরোধ করব। যাতে সব দলকে তাদের মত জানাতে অনুরোধ করা হবে।একমাত্র তবেই গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে আমাদের পরামর্শ জানাতে পারব।”

 রবিবার প্রহ্লাদ যোশী বলেন, “প্রত্যেকবার সংসদে অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সর্বদলীয় বৈঠক হয়ে থাকে। সংসদীয় কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে যাতে হয় তার জন্যই এই বৈঠক হয়। গতবার সাংসদে দু’বছর কোনও কাজ হয়নি। এর ফলে সাধারণ মানুষের আশাপূরণ হয়নি।এবার যাতে তার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য ওই বৈঠকে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর জন্য বিরোধী দলের সাংসদদের কাছে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হবে। এছাড়া ওই বৈঠকে ২০২২ সালে দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস ও মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালনের বিষয়েও আলোচনা হবে। পরেরদিন সমস্ত রাজ্যসভা ও লোকসভা সাংসদদের ডিনারের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে সরকারের সঙ্গে নিজেদের চিন্তাভাবনা আদান-প্রদান করার সুযোগ পাবেন তাঁরা।”

[আরও পড়ুন- ‘কটা উইকেট পড়ল?’, সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করে বিতর্কে বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী]

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া নীতি আয়োগের বৈঠকেও যোগ দেননি মমতা। এই বৈঠককে অর্থহীন বলে উল্লেখও করেছিলেন তিনি। এবার ফের সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী চিঠি লিখলেন। এর ফলে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে টানাপোড়েন আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement