ফাইল ফটো
স্টাফ রিপোর্টার: একজন সাংবিধানিক প্রধান। অন্যজন প্রশাসনিক প্রধান। একজন কেন্দ্রীয় সরকারের মনোনীত। অন্যজন জনগণের ভোটে নির্বাচিত। রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী। গত কয়েকদিনের মতো বৃহস্পতিবারও নাম না করে একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বাকযুদ্ধে নামলেন জগদীপ ধনকড় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ফলে নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত আরও উচ্চগ্রামে পৌঁছে গেল।
রাজ্যপালকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকার মহারাষ্ট্রের চেয়েও ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে বলে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করেই বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে শুধুমাত্র তুলোধোনা নয়,
রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় এক কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বললেন, ‘বাংলায় সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। এজেন্সির ভয়ে সবাই তটস্থ। মহারাষ্ট্রের ঘটনার থেকেও বাংলার পরিস্থিতি ভয়াবহ। লড়াই চলুক। দেখি কী হয়।’
রাজ্যপালকে দিয়ে বাংলায় সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে আগে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী অভিযোগ করেছেন। এদিন নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী সেই একই অভিযোগ করেন। পাশাপাশি শিল্পপতিদের বাংলায় ফের লগ্নির আহ্বানও জানান। তাঁর অভিযোগ, ‘দেশের অর্থনীতিতে এখন সবচেয়ে অন্ধকারতম সময় চলছে। বেকারিত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়েছে। ব্যাংকিং নীতির কারণে সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। কর্মসংস্থান হারাচ্ছেন মানুষ।’
কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির নিন্দা করে মমতা আরও বলেন, “নোটবন্দির মত আর্থিক নীতির কারণে শিল্পপতিরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। দেশে শুধু বিভাজনের রাজনীতি হচ্ছে। ঘরে টাকা রাখলে নোটবন্দি। ব্যাংকে রাখলে
লুটবন্দি। মানুষ কোথায় যাবে? সেদিক থেকে বাংলা অনেক উন্নতি করছে।” পিঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকেও তোপ দেগে মমতা বলেন, “পিঁয়াজের কিলো ১৪০। ভোট এলে গ্যাসের দাম কমে। ফল বেরিয়ে গেলেই ফের ধাপে ধাপে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.