নব্যেন্দু হাজরা: অ্যাডিনো ভাইরাসের আতঙ্কে ত্রস্ত বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের একজনের শরীরেও থাবা বসিয়েছে এই জীবাণু। সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে নিজেই সেকথা জানালেন তিনি। তবে তাঁর পরিবারের কে আক্রান্ত হয়, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানাননি মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত কয়েকদিন রাজ্যবাসীকে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ তাঁর।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “আমার পরিবারের একজন অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত। আমি এসব বলে বেড়াই না। কোভিডের পর একটা রিয়্যাকশন হচ্ছে। জ্বর হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখান। দয়া করে আতঙ্কিত হবেন না। ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১৩ জনের কোমর্বিডিটি ছিল। ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসের কারণে। ছোটদের আমি খুব ভালবাসি। আবার কয়েকদিন মাক্স ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে টেলিমেডিসিনে কথা বলুন।” কোভিডকালের তুলনায় বর্তমান স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও অনেক উন্নত হয়েছে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “বলা হচ্ছে এসএনসিইউ নেই। সিপিএম জমানায় জিরো ছিল। ১৩৮টি হাসপাতালে ২৪৮৬টি এসএনসিইউ রয়েছে।”
রাজ্যে একের পর এক শিশুমৃত্যু লেগেই রয়েছে। রোজই বাড়ছে প্রাণহানি। প্রত্যেকেরই উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই শিশুদের পরিবারের লোকজনের মধ্যে বাড়ছে আতঙ্ক। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবশ্য প্রস্তুত রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে মোট আড়াই হাজারেরও বেশি এসএনসিইউ বেড রয়েছে। পিকু রয়েছে ৬৫৪টি। এনআইসিইউ বেড রয়েছে ১২০টি। বি সি রায় হাসপাতালে রোগীদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে আরও ৭৫টি পিকু বেড চালু করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.