সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে এবার বিদ্বজ্জনদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশজুড়ে গণপিটুনির বাড়বাড়ন্ত, অসহিষ্ণুতার বাতাবরণের জন্য প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন দেশের গুণীজনরা। সেই ইস্যুতেই এবার বিদ্বজ্জনদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা। জানালেন, এটাই যথার্থ সময় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার। বুধবার তিনি বলেন, ‘দেশে এই মুহূর্তে কী হচ্ছে সবাই জানে। আমি প্রত্যেক বিদ্বজ্জনকে শ্রদ্ধা করি। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে যা লিখেছেন তা মানুষেরই স্বাভাবিক প্রতিবাদ। আমি মনে করি, এটাই সঠিক সময় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার। যে কোনও নাগরিক যে কোনও উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখতে পারেন।’
[আরও পড়ুন: কৌশিক সেনকে খুনের হুমকি, সেঁটে দেওয়া হল ‘দেশদ্রোহী’ তকমা]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে এই চিঠির বিষয়বস্তু নয়। বরং যেভাবে দেশে অসহিষ্ণুতার ঘটনা বাড়ছে তারই উদ্বেগ জানিয়ে বিদ্বজ্জনরা চিঠি লিখেছেন। এই ইস্যুতে বিজেপির তরফে বিদ্বজ্জনদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অভিসন্ধির অভিযোগ তুলেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কৌশিক সেন, অপর্ণা সেন, শ্যাম বেনেগালদের মতো প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বদের দেশদ্রোহী তকমাও দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে মমতার সাফ মন্তব্য, ‘একে রাজনৈতিক প্ররোচনা বলা হলে এটা লজ্জার। আপনার কী মনে হয়, শ্যাম বেনেগাল এবং অন্যরা কারও কাছ থেকে টাকা নিয়ে এসব করছেন?’ এরপরই তিনি বলেন, ‘আমি সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করি। কোনও ধর্মীয় স্লোগান নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। সবাইকে ভালবাসতে শিখেছি। এটাই আমার শিক্ষা। ধর্মের নামে হিংসা ছড়ানোকে ঘৃণা করি।’
প্রসঙ্গত, অসহিষ্ণুতা হল একপ্রকার মধ্যযুগীয় বর্বরতা, ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে এই কথা উল্লেখ করেছেন বিশিষ্টজনরা। পাশাপাশি, দলিত ও সংখ্যালঘুদের উপর বেড়ে চলা হামলার বিরুদ্ধেও সওয়াল করেছেন তাঁরা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় রোজ কোথাও না কোথাও গণপিটুনিতে নিহত হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। স্বজনহারা হচ্ছে কত পরিবার। শুধু সংখ্যালঘুই নয়, হামলা হচ্ছে জয় শ্রীরাম না বলা মানুষগুলির উপরও। এই প্রসঙ্গে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দাবি করেছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: সরকারের বিরোধিতা মানেই দেশদ্রোহিতা নয়: অপর্ণা সেন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.