রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ভোটের আর বাকি তিনদিন। বিধাননগর পুরনিগমের (Bidhannagar Municipal Corporation) নির্বাচনে এখনও দলের ইস্তাহারই প্রকাশ করতে পারল না বিজেপি। ইস্তাহার প্রকাশের দায়িত্ব কার উপর ছিল তা নিয়ে একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ব্যস্ত। বৃহস্পতিবার ভোটের প্রচারের শেষদিন। বিধাননগর নিয়ে দলের ‘ভিশন’ কী তা ভোটারদের জানাতেই পারল না বিজেপি (BJP)। সাম্প্রতিক ক্ষোভ-বিক্ষোভের ঘটনার জেরে দলের মধ্যে ছন্নছাড়া পরিস্থিতি ও সমন্বয়ের অভাবেই বিধাননগরের জন্য ইস্তাহার প্রকাশ করা যায়নি বলে মনে করছে দলের একাংশ।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি চার পুরনিগম বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ির ভোট। কিন্তু এখনও বিধাননগরে ইস্তাহার প্রকাশ না হওয়ায় বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরও নজরে এসেছে। এখানকার পুর নির্বাচন পরিচালন কমিটির আহ্বায়ক কিশোর করের বক্তব্য, প্রার্থীরা তাঁদের ওয়ার্ডের জন্য নিজেরাই প্রতিশ্রুতিপত্র ছাপিয়েছেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) জানিয়েছেন, “কী পরিস্থিতি রয়েছে তা খোঁজ নিয়েই বলতে পারব। আমরা অনলাইনেও প্রকাশ করতে পারি।”
বিধাননগর পুরসভায় মোট ৪১টি ওয়ার্ড রয়েছে। তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে রাজারহাট-গোপালপুর, রাজারহাট—নিউটাউন ও বিধাননগর। নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় কিশোর কর, স্বপন রায়চৌধুরী ও অনুপম দত্তকে। গত ভোটে বিজেপি একটি আসনও পায়নি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে বিধাননগরে অনেকাংশে বিজেপি এগিয়ে ছিল বলে দাবি নেতৃত্বের।
এক রাজ্য নেতার কথায়, সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh), বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষরা সল্টলেক পুরভোটের দায়িত্বে। যারা সল্টলেকের অলি-গলি ভাল করে চেনেন না। অথচ সল্টলেকের যারা বাসিন্দা শমীক ভট্টাচার্য, সায়ন্তন বসুদের ইস্তাহার তৈরির কোনও দায়িত্বও দেওয়া হয়নি। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী উমাশঙ্কর ঘোষদস্তিদারের বক্তব্য, “আমি প্রার্থী পরিচিতিপত্র নিজে ছাপিয়েছি। এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে সারা বছর থেকে কী কী কাজ করি ওই লিফলেটেই সে কথা উল্লেখ রয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.