বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী মঙ্গলবার শপথ নেবেন নব নির্বাচিত বিধায়করা। বিধানসভাতেই তাঁদের শপথবাক্য পাঠ হবে বলে সরকারপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কে শপথবাক্য পাঠ করবেন তা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। গত উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ (Mamata Banerjee) বিজয়ী তিন বিধায়ককে শপথ পড়ানো নিয়ে রাজভবন ও বিধানসভার মধ্যে জটিলতা তৈরি হয়।
সাধারণত বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান বিধানসভার অধ্যক্ষ। কিন্তু ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার আগে থেকেই শপথ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করাতে চেয়ে জেদ ধরেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এমনকী নির্বাচিত বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করানো নিয়ে যে অধিকার বিধানসভার (West Bengal Assembly) অধ্যক্ষকে দেওয়া ছিল তাও প্রত্যাহার করে নেন। রাজ্যপালের আচরণে ক্ষুব্ধ হন অধ্যক্ষ। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চিঠি চালাচালিও হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামতে হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শেষ পর্যন্ত বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)।
এবার কে শপথ পাঠ করাবেন ভোট শেষ হতেই সেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে বিধানসভার অন্দরে। আগের উপনির্বাচনের আগে রাজ্যপাল যে অধিকার প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তা কী ফিরিয়ে দেবেন? একান্তই যদি ফিরিয়ে দেন তাহলে কী বিধানসভা তা গ্রহণ করবে? যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি রাজভবন বা বিধানসভা। এর মধ্যেই ঠিক হয়েছে আগামী মঙ্গলবার ৯ নভেম্বর নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ হবে।
এদিকে, মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দেয়নি বিজেপি (BJP)। তবে, অধিবেশনে যোগ না দিয়েও খাতায় স্বাক্ষর করেছেন ৮ বিজেপি বিধায়ক। আর্থিক বিষয় জড়িত থাকার কারণেই বিধায়কদের এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টিকে অনৈতিক বলে মনে করছে শাসকদল। যদিও গুরুত্ব দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। আবার বিএ কমিটিতে না রাখায় ক্ষুব্ধ আইএসএফের একমাত্র বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকী। বিজেপি পরিষদীয় দল বেশিরভাগ দিন অধিবেশনে না আসার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তিনি কিছুই জানতে পারছেন না বলে অভিযোগ তাঁর।
শুরুর দিন ছাড়াও শেষের তিনদিন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। সেইমতো প্রথমদিন ৭০ জন বিধায়কের মধ্যে ৬৮ জন অধিবেশনে যোগ দেন। কেন অধিবেশনে যোগ না দিয়েও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করলেন এই বিধায়করা? পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, অধিবেশন চলাকালীন বিধায়করা অতিরিক্ত ভাতা পান। সেই ভাতা পেতেই স্বাক্ষর। বিষয়টি অনৈতিক বলে দাবি করেন, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। যদিও তৃণমূলের কাছ থেকে নৈতিকতার পাঠ নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন এক বিজেপি বিধায়ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.