লক্ষ্মীবারে নজরে রাজ্য বাজেট(West Bengal Budget 2024)। রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর। লোকসভা ভোটের আগে এই বাজেটে একাধিক বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর। জেনে নিন বিস্তারিত।
বিকেল ৪.২১: বাজেটের অনেকটাই ভোটে হেরে যাওয়ার আতঙ্কের প্রতিফলন, ভীত-আতঙ্কিত হয়ে এই বাজেট পেশ রাজ্যের। আয়ের দিশা নেই। রাজস্বের কী পরিস্থিতি, তা উল্লেখ করা হয়নি। এটা ভোটের প্রচার। কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
বিকেল ৪.১৫: ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’। বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। ‘এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “জনমুখী উন্নয়নের বাজেট, বিশেষভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার দ্বিগুণ করার মত ঐতিহাসিক পদক্ষেপের জন্য সরকারকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।”
জনমুখী উন্নয়নের বাজেট, বিশেষভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার দ্বিগুণ করার মত ঐতিহাসিক পদক্ষেপের জন্য মাননীয়া @MamataOfficial সরকারকে জানাই
আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। বাংলার সামগ্রিক উন্নয়ন এই বাজেটে ত্বরান্বিত হবে। এই রাজ্যের অর্থনীতি ও জনজীবনের মান আরও উন্নত হবে।
জয় বাংলা।— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) February 8, 2024
বিকেল ৪.১২: বিধানসভায় বাজেট বক্তৃতায় কবিতাপাঠ অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের।
বিকেল ৪.০৫: সংস্কৃতির উন্নয়নে মাইনরিটিস কালচারাল ডেভলপমেন্ট সেন্টার গঠিত হবে। যেখানে মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন এবং পারসি-এই ৬ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য় প্রদর্শিত হবে। ফলে এই সব সম্প্রদায়ের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এই খাতে বরাদ্দ ২০ কোটি।
বিকেল ৪.০৩: চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি কর্মচারীদের মাসিক পারিশ্রমিক যথাক্রমে ৩ হাজার ও সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে বাড়বে। ৪০ হাজার কর্মী উপকৃত হবে। ২৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ। সরকারের আওতায় থাকা আইটি কর্মীদের পারিশ্রমিক ক্যাটাগরি অনুযায়ী বাড়ানো হল।
বিকেল ৪:০০: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মুড়িগঙ্গা নদীর উপর ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘গঙ্গাসাগর সেতু’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত। এর জন্য এই বাজেটে ২০০ কোটি বরাদ্দ করা হল। আগামী তিন বছরে এই সেতু নির্মাণ করবে রাজ্য সরকার।
দুপুর ৩.৫৬: যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক ‘কর্মসাথী পরিযায়ী শ্রমিক’ পোর্টালে নথিভুক্ত, তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এই খাতে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ। উপকৃত হবে ২৮ লক্ষের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক।
দুপুর ৩. ৫৪: দ্বাদশের বদলে একাদশ শ্রেণি থেকে ‘তরুণের স্বপ্নে’র প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত পড়ুয়ারা। অর্থাৎ মাধ্যমিকের পরই হাতে ‘ট্যাবলেট’ পাবে সরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা। মাসিক ভাতা বাড়ল মিড ডে প্রকল্পের কুক কাম হেল্পারদেরও। তাঁরা এতদিন যাবত বছরে ১০ মাস ১ হাজার টাকা করে পেতেন। এবার থেকে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে দেবে রাজ্য।
দুপুর ৩.৫২: কারিগর ও তাঁতিদের জন্য বিশেষ প্রকল্প। ১৮ থেকে ৬০ বছরের নথিভুক্ত কারিগর বা তাঁতিদের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে সেই পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যরা এককালীন ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য পাবে।
দুপুর ৩.৪৮: যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন সরকার এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলোতে সমস্ত খালিপদ পূরণ করার জন্য ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
দুপুর ৩.৪৭: আবাস যোজনার টাকার জন্য আরও এক মাস অপেক্ষা করব। তার পরও কেন্দ্র সরকার টাকা না দিলে রাজ্য সরকার এই বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে বাজেট ঘোষণায় বললেন চন্দ্রিমা।
দুপুর ৩.৪৩: মৎস্যজীবীদের জন্য নতুন প্রকল্প- ‘সমুদ্র সাথী’। প্রতি বছর এপ্রিল-মে মাসে তিন জেলার সরকারি খাতায় নথিভুক্ত মৎস্যজীবীরা মাসিক ৫ হাজার টাকা করে পাবে। এই খাতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল। এই দুমাস সমুদ্রে যেতে নিষেধ থাকে তাই এই আর্থিক সাহায্য।
দুপুর ৩.৪১ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ব্যাঙ্ক ঋণ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
দুপুর ৩.৪০: ‘পশ্চিমবঙ্গ ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’ চালু হচ্ছে। বার্ষিক ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল। ১৮-৫০ বছরের ২ লক্ষ যুবক-যুবতী স্বনিযুক্তিমূলক কাজের জন্য এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ঋণ ব্যাঙ্ক মারফত পাবে। ৪ শতাংশ সুদে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত ঋণ পাবে।
দুপুর ৩.৩৮: ৬টি ইকোনমিক করিডোর গড়ছে রাজ্য।
দুপুর ৩.৩৪: কেন্দ্রের ১০০ দিনের প্রকল্পের পালটা রাজ্যের ৫০ দিনের কাজের প্রকল্প। নাম কর্মশ্রী। মে মাস থেকে কার্যকর হবে।
দুপুর ৩.৩০: দেশের চেয়ে রাজ্যের বেকারত্বের হার কম। দাবি অর্থমন্ত্রীর।
দুপুর ৩.২৮: বিধানসভায় বিজেপির হট্টগোল। বাজেট ভাষণ থামিয়ে বলতে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, “বাজেটের সমালোচনার অধিকার আপনাদের আছে। কিন্তু আগে বলতে দিন। বলতে দিচ্ছেন না কেন? তাহলে কি আপনারা ভয় পাচ্ছেন?”
দুপুর ৩.২৬: সিভিক ভলান্টিয়ার্স, ভিলেজ পুলিশ ও গ্রিন পুলিশদের ভাতা বাড়ল ১০০০ টাকা। সিভিক পুলিশ, গ্রিন পুলিশ, যারা চুক্তিভিত্তিক কর্মী তাদের এককালীন অবসরকালীন সুবিধা ৩ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হল।
দুপুর ৩.২২: মে মাস থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA বা মহার্ঘ ভাতা বাড়ল আরও ৪ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী আগেই আরও ৪ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন। তা ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছিল। ফলে এবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বেড়ে হল ১৪ শতাংশ। কেন্দ্রের সঙ্গে ফারাক কমে দাঁড়াল ৩২ শতাংশ।
দুপুর ৩.১৯: ১০০ দিনের শ্রমিকের বকেয়া মেটাতে রাজ্য বাজেটে ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জব কার্ড আছে এমন শ্রমিকরা পাবেন টাকা।
দুপুর ৩.২০: বিজেপির হট্টগোলে ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “বিজেপি বাঙালি বিরোধী।”
দুপুর ৩.১৭: মৎস্যজীবীদের জন্য নতুন প্রকল্প- ‘সমুদ্র সাথী’। বেকারদের জন্য নতুন প্রকল্প ‘কর্মশ্রী’ চালু হচ্ছে। বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর।
দুপুর ৩.১৫: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক বরাদ্দ বাড়াল রাজ্য সরকার। মাসিক ৫০০ টাকার বদলে মিলবে ১ হাজার টাকা। তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির মহিলাদের জন্য বরাদ্দ বেড়ে হল ১২০০ টাকা। সরকারের মাসিক খরচ বাড়ল ১২ হাজার কোটি টাকা।
দুপুর ৩.১১: কেন্দ্রীয় বাজেট জনবিরোধী, উল্লেখ রাজ্য বাজেটের ভাষণে। সঙ্গে সঙ্গে হট্টগোল শুরু বিজেপির। ‘জয় শ্রী রাম স্লোগান’। তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে চুপ করার আবেদন স্পিকারের।
দুপুর ৩টে: রাজ্য সঙ্গীত দিয়ে বাজেট অধিবেশন শুরু। বিজেপি অংশ নিল না। বিধায়কদের বসিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পালটা জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “বিজেপি জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করল। এর তীব্র নিন্দা করছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.