স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্য শিক্ষানীতিতে জোর দেওয়া হয়েছে বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপর। অন্ততপক্ষে ৫০ শতাংশ পড়ুয়া যেন একটি বৃত্তিমূলক বিষয় নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উত্তীর্ণ হয়, তা সুনিশ্চিত করা শিক্ষানীতির মূল লক্ষ্যগুলির মধ্যে অন্যতম। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়িত করতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, এবার থেকে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা যে কোনও একটি বৃত্তিমূলক বিষয় নিতে পারবে। সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা না করলেও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বিষয়টি নির্বাচন করা যাবে। ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নয়া ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সংসদ। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বর্তমানে হেল্থ কেয়ার, অটোমোবাইল, সিকিউরিটি, ইলেকট্রনিক্স, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি, প্লাম্বিং, কনস্ট্রাকশন-সহ মোট ১২টি বৃত্তিমূলক বিষয় রয়েছে। মাধ্যমিকে না থাকলেও এই বিষয়গুলির মধ্যে যে কোনও একটিকে ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে বেছে নিতে পারবেন একাদশের ছাত্রছাত্রীরা।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য শিক্ষানীতিকে মান্যতা দিয়েই আমরা এটা চালু করলাম। তবে, সংসদে বহুদিন ধরেই বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই বিষয়গুলি আগেও ছিল। তবে এবার থেকে মাধ্যমিক না থাকলেও অপশনাল ইলেকটিভ হিসাবে যে কেউ নিতে পারবে।” কারিগরী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তরের অধীনস্ত বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিভাগের ছাত্রছাত্রীদেরই মাধ্যমিক স্তরে এই বিষয়গুলি থাকত। ফলে, ছোট পরিসরে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল বৃত্তিমূলক শিক্ষার বিষয়টি। বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরামর্শে সংসদ এই পদক্ষেপ করল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.