রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ কী? বিজেপির আদি নেতারা চোখ বন্ধ করে বলে দিচ্ছেন, তৃণমূল (TMC) থেকে আসে নেতাদের উপর মাত্রাতিরিক্ত ভরসা করা। দলে ঢুকেই যেভাবে প্রাক্তন তৃণমূল নেতারা একের পর এক বড় পদ পেয়ে গিয়েছেন, তা ভালভাবে নেয়নি দলের নিচুতলার কর্মীরা। সাধারণ মানুষের কাছেও ভুল বার্তা গিয়েছে। সেই ভুল থেকে এবার শিক্ষা নিতে চায় বঙ্গ বিজেপি। দলে তৃণমূলীদের বাড়বাড়ন্তে রাশ টানতে চান দিলীপ ঘোষরা (Dilip Ghosh)। সেই নিয়ে শুরু হয়েছে ভাবনা-চিন্তা। দলের আসন্ন জেলা কার্যকারিণী বৈঠকেই নতুন প্রস্তাবে শিলমোহর পড়তে পারে।
কী সেই নতুন প্রস্তাব? দিলীপ ঘোষদের সিদ্ধান্ত, জেলা হোক বা রাজ্য কমিটি, তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের রাতারাতি বড় পদে বসিয়ে দেওয়া যাবে না। যারা শাসকদল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের আগে দলের নীতি-আদর্শ মেনে কাজ করতে হবে। দলের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখাতে হবে। তারপর রাজ্য নেতাদের মনে হলে, তাঁদের পদ দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। তার আগে দলের সংগঠনের রাশ পুরোপুরি থাকবে দলের পুরনো নেতাদের হাতে। জেলা কমিটিতেও দলের রাশ থাকবে পুরনো নেতৃত্বের হাতেই। জেলা কার্যকারিণী বৈঠকেই নতুন প্রস্তাবে শিলমোহর পড়তে পারে বলে বিজেপি (BJP) সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, সোমবারই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করে এসেছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ নাকি নাড্ডার কাছেও আরজি জানিয়েছেন, যাতে দলে নবাগতদের বড় কোনও পদ না দেওয়া হয়। তাঁর বক্তব্য, আগামী দিনে কোনও সাংগঠনিক রদবদল হলে সেখানে পুরনো নেতা-কর্মীদের বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কেউ দলে যোগ দিলে বিজেপির আদর্শ এবং কাজের পদ্ধতি বোঝার জন্য তাঁকে সময় দেওয়া দরকার। তার পরেই বড় দায়িত্ব দেওয়া উচিত। মেদিনীপুরের সাংসদের সাফ কথা, অতীতে নবাগতদের দায়িত্ব দিয়ে ফল ভুগতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। তাই এবার পুরনোদের কথা বেশি করে শোনা উচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.