ছবি: প্রতীকী
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পরপর তিনবার বুথ অভিযান করেও মাত্র ৫৬ শতাংশ বুথে পৌঁছতে পারল বঙ্গ বিজেপি। মাত্র ৪০ হাজার বুথে পৌঁছতে পেরেছে তারা। বাকি বুথের কোনও তথ্যই আসেনি।
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত চলা সল্টলেকে দলীয় কার্যালয়ে রাজ্য বিজেপির (West Bengal BJP) সাংগঠনিক বৈঠক সূত্রে এমনই খবর। শুধু তাই নয়, লোকসভা ভিত্তিক সংগঠনের প্রকৃত অবস্থা দেখতে লোকসভার দায়িত্বেও কিছু বদল করা হয়েছে। যা রিপোর্ট নেতারা দিচ্ছেন, তাতে জল মেশানো থাকতে পারে বলে মনে করছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই বিধানসভাগুলির বুথের অবস্থা কী, সেখানকার সংগঠন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলের কাজ কতটা হচ্ছে, স্থানীয় ইস্যু কী হতে পারে তা দেখতে ৪২টি লোকসভার দায়িত্ব পুরনো নেতাদের দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিজেপির বর্তমান ক্ষমতাসীন শিবির প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, বাপী মিত্রদের মতো পুরনো নেতাদের ব্রাত্য করে রেখেছিল। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা তাঁদের বিভিন্ন লোকসভার দায়িত্ব দিলেন।
তাঁদের বলা হয়েছে, সেই লোকসভার মধ্যে সব বিধানসভার সংগঠনের প্রকৃত রিপোর্ট তুলে আনতে। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, সহ পর্যবেক্ষক আশা লকড়া, অমিত মালব্য, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
প্রধানমন্ত্রীর শততম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের সব তথ্য সরল অ্যাপের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছেছে। বিজেপি সূত্রের খবর, সেই তথ্য যদি সত্যি হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে পশ্চিমবঙ্গের সাংগঠনিক অবস্থা উত্তরপ্রদেশের থেকেও ভাল। কারণ অ্যাপের তথ্য অনুযায়ী দেশের মধ্যে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান আয়োজক বুথের সংখ্যার ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে সপ্তম স্থানে। উত্তরপ্রদেশ একধাপ পিছিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে। বঙ্গ বিজেপির রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৬০ হাজার বুথে তারা এই ‘মন কি বাত’ কর্মসূচি পৌঁছে দিতে পেরেছে। এই তথ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের কিছুটা সংশয় আছে। কারণ, এত বুথে দলীয় সংগঠন কিংবা কমিটি কিছুই নেই। তাই সব ক্ষেত্রেই প্রকৃত তথ্য পেতে কিছু দায়িত্ব বদলের সিদ্ধান্ত বৈঠক থেকে নেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.