রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: তেলিনিপাড়ার হিংসা থামাতে মঙ্গলবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের দ্বারস্থ হল বঙ্গ বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। রবিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া দুটি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের জেরে হুগলি জেলার চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় হওয়া বোমাবাজি ও মারামারির জেরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। আর এর মাঝেই এই হিংসা থামানোর জন্য রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানালেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ বঙ্গ বিজেপি নেতারা। রাজভবনে গিয়ে তেলিনিপাড়ার পরিস্থিতির কথা খুলে বলেন বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং ও সব্যসাচী দত্ত।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘আজ রাজভবনে গিয়েছিলাম। তিনদিন ধরে অশান্তি চলছে তেলিনিপাড়ায়। রবিবার সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও অশান্তি হয়েছে সেখানে। এরপর গতকাল সেখান যাওয়ার পর আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওখানকার পুলিশ কমিশনার আমাকে দেখা করার জন্য চন্দননগর থানায় আসতে বলেন। কিন্তু, সেখানে যাওয়ার পরেও তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেননি। এই পরিস্থিতির মধ্যে একজন সাংসদ দেখা করতে চাইলেও তিনি রাজি হয়নি।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘আজ সকাল থেকে সেখানে দফায় দফায় বোমাবাজি ও ভাংচুর চালানো হয় বহিরাগত দুষ্কৃতীদের মদতে। চারিদিকে ব্যারিকেড দিয়ে জায়গাটা ঘিরে দিলেও সেখানকার পরিস্থিতি সামলাতে পারছে না পুলিশ। করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের সর্বত্র জীবন বাজি রেখে কাজ করলেও উপরতলার নির্দেশে ছোট্ট এই জায়গার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না তারা। এটা পুরোপুরি প্রশাসনের ব্যর্থতা। মাননীয় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তেলিনিপাড়ার পরিস্থিতি খুলে বলেছি। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি এবং লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাজিকেও আমি চিঠি দেব।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.