Advertisement
Advertisement
BJP

বয়সের গেরোয় পদ্ম কমিটিতে নয়া সংকট, কোন দায়িত্বে প্রবীনরা? চিন্তায় গেরুয়া শিবির

তৈরি হয়নি যুব মোর্চা কমিটি।

West Bengal BJP in dilemma on how to 'accommodate' senior leaders | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 14, 2022 10:38 am
  • Updated:February 14, 2022 10:38 am  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দলে তরুণ প্রজন্মকে গুরুত্ব দিতে বিভিন্ন কমিটিতে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বয়সের সীমা। আর এই বয়সের গেরোয় মহা ফ্যাসাদে রাজ্য বিজেপি (BJP)। মাঝবয়সি ও প্রবীণ নেতাদের কোনও কমিটির মাথায় রাখা নিয়ে তৈরি হয়েছে সমস্যা। আবার যুব মোর্চার কমিটির সদস্যদেরও বয়সের সীমা ঠিক করে দেওয়ায় পুরনো কমিটির বড় অংশকেই বাদ দিতে হবে। ফলে নয়া প্রজন্মকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে প্রবীণদের কোন দায়িত্বে রাখা যায় সেটা নিয়ে এখন চিন্তায় গেরুয়া শিবির।

তরুণ নেতৃত্বের অধীনে অনেক পুরনো ও প্রবীণ নেতারা কাজ করতে কতটা স্বচ্ছন্দ হবেন, সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। একে তো দলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চরমে। পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়েও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তার উপর গেরুয়া শিবিরে নতুন সমস্যা বয়সের গেরো। যার ফলে আটকে রয়েছে যুব মোর্চার কমিটি গঠন থেকে শুরু করে মণ্ডল কমিটি গঠন। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ রাজ্যনেতাদের বলেছেন, মণ্ডল কমিটির সভাপতিদের বয়সের সীমা ৪৫-এর মধ্যে থাকতে হবে। আবার যুব মোর্চার কমিটিতে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের বয়স ৩৫-এর মধ্যে হতে হবে। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ডা. ইন্দ্রনীল খাঁর বয়স ৩৪। তা হলে আগামী বছর তাঁকেও কি পদ ছাড়তে হবে? এই প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অবিজেপি রাজ্যে রাজ্যপালের ‘অতিসক্রিয়তা’! ধনকড় ইস্যুতে স্ট্যালিনের সঙ্গে কথা মমতার]

যুব মোর্চার এক রাজ্যনেতার কথায়, “বয়সের সীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমরাও অন্ধকারে। তা হলে তো যুব মোর্চার পুরনো রাজ্য কমিটির কেউই আর থাকতে পারবে না পদে।” কাকে রেখে কাকে ছাড়ি, এই সমস্যার কারণেই নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও যুব মোর্চার রাজ্য কমিটি ঘোষণাই করতে পারেননি বঙ্গ বিজেপির নেতারা। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ডা. ইন্দ্রনীল খাঁ অবশ্য এখনই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। আবার মণ্ডল সভাপতিদের বয়স বেঁধে দেওয়া নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে। ৪৫ বছরের মধ্যে যাঁদের বয়স, এরকম কর্মীদের মণ্ডল সভাপতি করলে তাঁদের অধীনে প্রবীণ নেতারা কীভাবে কাজ করবেন, কতটা মেনে নেবেন তাঁরা কমবয়সি নেতৃত্বকে, তা নিয়েও প্রশ্ন দানা বেঁধেছে।

একদিকে দলে বিদ্রোহের পরিবেশ, ১০৮টি পুরসভার ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা নিয়ে চরম বিভ্রান্তি চলছে, তার মধ্যেই আবার কম বয়সিদের মণ্ডল সভাপতির দায়িত্ব। এসব নিয়েই এখন উভয় সঙ্কটে বঙ্গ বিজেপি। সারা রাজ্যে দলের ১২৪৮টি মণ্ডল কমিটি রয়েছে। একাধিক কমিটি থেকে বাদ পড়ে জেলায় জেলায় দলের পুরনো ও প্রবীণ নেতারা বিক্ষুব্ধ। মণ্ডল কমিটিতেও যদি তরুণ ও যুবদের প্রাধান্য হয়, তা হলে দলের প্রবীণ নেতাদের কোথায় জায়গা দেওয়া হবে, এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে। আর এই বয়সের গেরোয় আটকে মণ্ডল কমিটি গঠনের কাজও।

[আরও পড়ুন: পুরভোটে বহু আসনেই নেই প্রার্থী, গেরুয়া শিবিরের অন্তর্তদন্তে উঠে এল কোন কোন বিষয়?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement