রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৭৭। হতে চলেছে ৭৫। দলের দুই সাংসদ-বিধায়ক, বিধায়ক পদ গ্রহণ না করে সাংসদ পদেই বহাল থাকবেন। বিজেপি (BJP) সূত্রে এমনটাই খবর। দলের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্বের আলচনার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এবারে বিধানসভায় মোট পাঁচজন সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। চুঁচুড়া থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়, টালিগঞ্জ থেকে বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) এবং তারকেশ্বর থেকে স্বপন দাশগুপ্ত বড় ব্যাবধানে হারলেও, কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিক এবং নদিয়ার শান্তিপুরে জগন্নাথ সরকার জিতে গিয়েছেন। নিশীথ (Nishith Pramanik) তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী উদয়ন গুহকে মাত্র ৫৯ ভোটের ব্যাবধানে হারিয়েছেন। সেখানে জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar) তৃণমূলের অজয় দেকে হারিয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার ভোটে। নিয়ম অনুযায়ী এক ব্যক্তি একই সঙ্গে সাংসদ এবং বিধায়ক পদে থাকলে ৬ মাসের মধ্যে কোনও একটি পদ তাঁকে ছাড়তে হয়। কোচবিহার এবং রানাঘাটের দুই সাংসদ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই জল্পনা চলছিল এঁরা দু’জন কোন পদ ধরে রাখবেন? সাংসদ পদ নাকি বিধায়ক পদ? তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিধানসভায় নির্বাচিত হলেও এঁরা বিধায়ক পদে শপথ নেননি। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়, তাহলে হয়তো এই দুই নেতাকে সংসদেই রেখে দিতে চায় বিজেপি। শনিবার দিল্লিতে দলের কেন্দ্র ও রাজ্য নেতারা বৈঠক করে সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দেন। দুই সাংসদই বিধায়ক পদ ছাড়ছেন। তবে, কবে সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
আসলে, একুশের বিধানসভার ফল প্রকাশের পর রাজ্যে এখন ঘাসফুলের হাওয়া। দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সরকারের ভাবমূর্তিও ধাক্কা খেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে দুই কেন্দ্র থেকে সাংসদদের জিতিয়ে আনার ঝুঁকি নিতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। তাঁরা বরং, তলায় তলায় শান্তিপুর এবং কোচবিহার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তবে এই দুটি আসনের উপনির্বাচনের পাশাপাশি রাজ্যে আরও একাধিক আসনে আগামী ৬ মাসের মধ্যে ভোট হতে পারে। তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী কাজল সিনহার মৃত্যুতে খড়দহ কেন্দ্রটি এখন বিধায়ক শূন্য। মুর্শিদাবাদের দুই প্রার্থীর মৃত্যুর পর দুই কেন্দ্রে ভোট হওয়া এখনও বাকি। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী নিজে যদি এগুলির বাইরে অন্য কোনও আসনে দাঁড়াতে চান, সেখানেও উপনির্বাচন প্রয়োজন। সার্বিকভাবে সব নির্বাচনের জন্যই প্রস্তুতি শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.