Advertisement
Advertisement
West Bengal assembly polls:

মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠির জের, ফের সুদীপ জৈনের বিরুদ্ধে কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল

নন্দীগ্রাম কাণ্ড নিয়ে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া জবাব দিয়েছিলেন সুদীপ জৈন।

West Bengal assembly polls: TMC to move EC against Sudip Jain | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 17, 2021 11:55 am
  • Updated:March 17, 2021 3:17 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কড়া চিঠির জের। ফের উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের (Sudip Jain) বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে যাবতীয় অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন এক তৃণমূল সাংসদ।

নন্দীগ্রামের (Nandigram) ঘটনার প্রেক্ষিতে বিবেক সহায়ের অপসারণ নিয়ে কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলে দিল্লিতে চিঠি পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল, কমিশনের এই সিদ্ধান্তে তাঁর নিরাপত্তা কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়বে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যার জবাবে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব ও রাজ্যের নিযুক্ত দুই পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ও বিবেক দুবের রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর সহায়কে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিতে কমিশন বাধ্য হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ প্রসঙ্গে জৈনের বক্তব্য, “এই ধরনের অভিযোগ কমিশনের ভাবমূর্তিকে ছোট করেছে।” মুখ্যসচিবের রিপোর্ট উল্লেখ করে জৈন আরও বলেন, সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা কর্মী ও জেলার অধিকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় ছিল না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কর্মসংস্থান থেকে সরাসরি অর্থসাহায্য, ইস্তেহার প্রকাশের আগেই ‘অঙ্গীকারপত্রে’ চমক তৃণমূলের]

পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট তুলে ধরে উপনির্বাচন কমিশনার লেখেন, চলন্ত অবস্থাতেও গাড়ির সামনেও ভিড় করেছিলেন প্রচুর মানুষ। তখন কেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর গাড়ির সামনে এসে তাঁকে রক্ষা করলেন না, তা পরিষ্কার নয়। মুখ্যমন্ত্রী গাড়ির দরজা খোলা রেখে অভিবাদন জানালেও কেন চালক তা থামিয়ে দিলেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়াও পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টে স্পষ্ট নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সামনে ছিল না। তাছাড়া চোট লাগার পর এই ধরনের ভিভিআইপিদের কোন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত তাও তাঁদের জানা ছিল না। ফলে দীর্ঘক্ষণ মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি সেখানে আটকে থাকে। তাছাড়া সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথ নিয়ে জেলার কাছে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল না। ফলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যায়নি। এ সমস্ত বিষয় বিবেচনা করেই নিরাপত্তা অধিকর্তাকে অপসারণ করতে বাধ্য হয়েছে কমিশন। কমিশনের দিকে আঙুল তোলাকে দুর্ভাগ্যজনকও বলেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।

সুদীপ জৈনের এই কড়া চিঠি মোটেই ভালভাবে নেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের তরফে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই মুখ্যনির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। অভিযোগ জানাবেন সুদীপ জৈনের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ তুলে সুদীপ জৈনের অপসারণের দাবিতে কমিশনে গিয়েছিল তৃণমূল। যদিও রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনারের পদে সুদীপ জৈনকেই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement