রাহুল চক্রবর্তী: বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল৷ পরিকল্পনা মতোই শুক্রবার বিধানসভায় বিলটি পেশ করে রাজ্য সরকার৷ জবাবি ভাষণ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘গণপিটুনি মানবতার অবক্ষয়৷ রাজস্থান বিল আনলেও, তা পাশ করাতে পারেনি৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আমরা করেছি৷ আজ গোটা দেশকে পথ দেখাল পশ্চিমবঙ্গ৷’’
[ আরও পড়ুন: নাইজেরীয় প্রেমিকের পাল্লায় পড়ে ৯ লক্ষ খোয়ালেন বাগুইআটির বধূ]
জানা গিয়েছে, জীবনের অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রক্ষার্থে, এই বিলটি আনে রাজ্য সরকার৷ বিলে অপরাধের মান অনুযায়ী শাস্তিকে তিন পর্যায়কে ভাগ করা হয়েছে৷ সূত্রের খবর, যেখানে শাস্তিস্বরূপ বলা হয়েছে, গণপিটুনির ঘটনায় কোনও একজন বা একাধিক ব্যক্তি আহত হলে, অভিযুক্তের তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হবে৷ অথবা ১ লক্ষ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে৷ প্রয়োজনে দুটোই হতে পারে৷ যদি আঘাত খুব গুরুতর হয়, তবে অভিযুক্তের যাবজ্জীবন অথবা ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে৷ সঙ্গে ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক জরিমানা হতে পারে৷ এবং শেষে গণপিটুনিতে কারও মৃত্যু হলে বা মেরে ফেলার উদ্দেশেই পেটানো হলে, অভিযুক্তের আজীবন সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে৷ এছাড়া ন্যূনতম ১ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে৷
[ আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর জন্যও বিজেপির দরজা খোলা’, বিধানসভায় এসে মমতাকে খোঁচা মুকুলের ]
এদিনের বক্তব্যে একযোগে বিজেপি ও বামেদের আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ‘দুর্যোধন-দুঃশাসনের সরকার আমরা চাই না।’ নাম না করে মোদি ও অমিত শাহকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বামেদের কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘যাঁরা ভাল কাজ করছে, তাঁরাই এখন অসাধু হয়ে গিয়েছে৷ পি চিদম্বরম, শরদ পওয়ারের মতো বিরোধী নেতাদের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে৷ কেবল বামেদের বিরুদ্ধেই এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার৷’’ এখানেই শেষ নয়, সরাসরি সুজন চক্রবর্তীদের নিশানা করে, বামেদের বিজেপির দালাল বলে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোরও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.