ফাইল ফটো
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: জনকল্যাণ ও রাষ্ট্র কল্যাণের উদ্দেশ্যেই কেন্দ্রীয় বাজেট। এই বাজেটে গরিব, মধ্যবিত্ত ও কৃষকদের কথা ভাবা হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে বিপুল বরাদ্দের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেটে জোর দেওয়া হয়েছে। এর সুফল সারা দেশের মতো বাংলার মানুষও পাবেন। এমনই দাবি বঙ্গ বিজেপির।
কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হওয়ার পরে সমালোচনায় মুখর হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল থেকে শুরু করে বাম ও কংগ্রেস। তখন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই এই বাজেট। সারা দেশের মতো বাংলার মানুষরাও এর সুবিধা পাবেন। এপ্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহার বক্তব্য, বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। আয়করেও ছাড় দেওয়া হয়েছে।
আজ বাজেট পেশ করার সময় জীবন বিমা নিগমে সরকারের হাতে থাকা শেয়ারের একটা অংশ বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, এয়ার ইন্ডিয়া ও রেলের পর এবার LIC-তেও কি বেসরকারি বিনিয়োগের রাস্তা খুলে দিতে চাইছে সরকার। এ প্রসঙ্গে রাহুল সিনহার দাবি, কোনও বেসরকারিকরণ হচ্ছে না। বরং এর ফলে এলআইসিতে পুঁজি আসবে। ভিত আরও মজবুত হবে।
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব আরও মনে করছে, স্বাধীনতার পরে কোনও সরকার কৃষকদের কথা সেভাবে ভাবেনি। কিন্তু, দ্বিতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে কৃষি ও সেচে বিপুল বরাদ্দ করা হয়েছে। কৃষি পণ্য রপ্তানির জন্য কৃষি উড়ান ও কৃষি রেলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বাংলার জন্য বাজেটে কোনও ঘোষণা নেই। যখন পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির ১৮ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তাহলে বাংলা কি বঞ্চিত হল? এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি সাংসদ ডা, সুভাষ সরকারের বক্তব্য, আলাদা করে কোনও রাজ্যের বিষয় নয়। সারা দেশের মতো বাংলাও এই বাজেটের সুফল পাবে। আয়ুষ্মান ভারত ও কৃষক সম্মাননিধির মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাংলায় চালু করতে দেয়নি তৃণমূল সরকার। ফলে সারা দেশ এর সুফল পেলেও বাংলার মানুষ পাচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.