সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যালেন্ডারের পাতায় এখন শ্রাবণ। ভারী বর্ষণের মরশুম। কিন্তু কলকাতার আকাশে শ্রাবণের বারিধারার চিহ্নমাত্র নেই। বরং দিনভর আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিতে নাজেহাল হচ্ছে শহরবাসী। তবে এই দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে স্বস্তির বাণী শুনিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। জানিয়েছে, সপ্তাহের শেষের দিকে, শুক্রবার বা শনিবার নাগাদ ভিজতে পারে কলকাতা ও শহরতলি। শ্রাবণের বৃষ্টির স্বাদ পেতে পারে দক্ষিণবঙ্গ।
[ আরও পড়ুন: উদ্ধার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকের পচাগলা দেহ, চাঞ্চল্য যাদবপুরে ]
দক্ষিণবঙ্গ থেকে বৃষ্টি মুখ ফেরালেও উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে কিন্তু বৃষ্টি কোনও কার্পণ্য করেনি। বরং বর্ষা এখানে অতি সদয় হওয়ার জন্য বানভাসি একাধিক এলাকা। এর উপর আবহাওয়া দপ্তর আবার বলেছে দু’দিন, আজ ও আগামিকাল উত্তরবঙ্গের আট জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের উত্তরের পাঁচ জেলায় তো বটেই, দক্ষিণের মালদহ ও দুই দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এও বলেছে মৌসুমী অক্ষরেখা এখন উত্তরবঙ্গের উপর অবস্থান করছে। ফলে বৃষ্টি যে ঝেঁপেই হবে, এনিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই।
কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের ভাগ্য তেমন ভাল নয়। আশার মেঘ ঘনালেও তা কেটে যাচ্ছে বারবার। যেমন জুলাইয়ের শুরুতে সাগরের নিম্নচাপ সেই ছবি বদলানোর কিছুটা ইঙ্গিত দিলেও বর্ষার ‘দ্বিচারিতায়’ মৌসুমি অক্ষরেখা সরে যায় হিমালয়ের পাদদেশে। ফলে অতি বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গ ভাসলেও কলকাতা-সহ দক্ষিণে বৃষ্টির ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাতাসে জলীয় বাস্প জমছে। আর তার ফলেই বাড়ছ আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। তবে এই সপ্তাহের শুক্রবার কলকাতা-সহ শহরতলীর একাধিক জায়গায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর।
২০০৯ সালে তীব্র এল নিনোর দাপটে তেমন বৃষ্টিই হয়নি দেশে। ২০১৪ ও ২০১৫ সালের পর দু’বছর আবার ঘাটতি দেখা গিয়েছিল বর্ষায়। তখনও দায়ী ছিল এল নিনো, অর্থাৎ প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ জলতল। ২০০৯ ও ২০১৪ সালের খরার বছরের খুব কাছাকাছি থাকবে চলতি মরশুমের অনাবৃষ্টি। তাই এই দু’এক পশলা বৃষ্টির ফলে কতটা ঘাটতি মিটবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
[ আরও পড়ুন: কাশীপুর রোডে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, ব্যাপক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ী ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.