Advertisement
Advertisement

Breaking News

জমির সত্ত্ব

তিন একর পর্যন্ত জমির সত্ত্ব পাবেন উদ্বাস্তুরা, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এর ফলে উপকৃত হবেন ৫৫ হাজার মানুষ।

We decided to regularize all the refugee settlement lands, said Mamata
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:November 25, 2019 8:30 pm
  • Updated:November 25, 2019 8:31 pm  

সন্দীপ চক্রবর্তী: উদ্বাস্তুদের তিন একর পর্যন্ত জমির সত্ত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে নবান্ন থেকে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন তিনি। রাজ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থার ৯৭৩ একর ও বেসরকারি সংস্থার ১১৯ একর জমিতে এই সত্ত্ব দেওয়া হবে বলে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১১ হাজার ৯৮৬টি পরিবারের মোট ৫৫ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।

[আরও পড়ুন: থমকে মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ, ছাড়পত্রের দাবিতে রেলমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর]

সোমবার এই বিষয়ে বৈঠক হয় রাজ্য মন্ত্রিসভার। তারপর নবান্নে একটি অনুষ্ঠান থেকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্ধ হওয়া বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার জমিতে দীর্ঘদিন ধরে যে উদ্বাস্তুরা বসবাস করছেন। তাঁদের তিন একর পর্যন্ত জমির সত্ত্ব প্রদান করা হবে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১২ বছর এক জায়গায় থাকলে সেই জায়গার উপর বসবাসকারীর একটা অধিকার জন্মায়। আর গত প্রায় ৫০ বছর ধরে উদ্বাস্তুরা এই রাজ্য বসবাস করছেন। ভোটাধিকার বা অন্য সুযোগ-সুবিধা পেলেও এতদিন জমির অধিকার পাননি। ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে নিজের জমি বা নিজের বাড়ি ছিল না তাঁদের। আমরা বহুবার কেন্দ্রকে এই সমস্যা সমাধানের কথা বলেছি। কিন্তু, তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। উলটে ওই জমি থেকে উদ্বাস্তুদের উচ্ছেদের জন্য মাঝেমধ্যেই নোটিস পাঠায়। আমার মনে হয় উদ্বাস্তুদেরও অধিকার আছে। তাই রাজ্য সরকারের তরফে যেখানে তাঁরা বসবাস করেন সেই জমির সত্ত্বাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিন একর পর্যন্ত জমিতে এই সত্ত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদি কারও কাছে তার থেকেও বেশি জমি থাকে তাহলে সরকারিভাবে সমীক্ষা করার পর ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ভুল বোঝাবুঝি মিটেছে, তৃণমূলেই আছি’, জল্পনা উড়িয়ে ঘোষণা দেবশ্রীর]

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা করলেও বিষয়টিকে বাস্তবায়িত করতে গিয়ে সমস্যা আসতে পারে বলে ধারণা আইন বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, এভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থার জমি অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার পরেই এটা করা যেতে পারত।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement