সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ডেডলাইন বেঁধে দেওয়ার পরই নড়েচড়ে বসলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। জরুরি ভিত্তিতে বোর্ড বসিয়ে চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গোটা প্রক্রিয়াটির ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে এবং সেই ভিডিও ফুটেজ-সহ রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বলেন, “কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে আমরা প্রার্থীর ইন্টারভিউ ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছি।” নির্ধারিত সময়ের আগে শুক্রবার দুপুর ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ ই-মেল মারফৎ পদক্ষেপের কথা জানান হয় কলকাতা হাই কোর্টে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর ফলাফল-সহ সমস্ত রিপোর্ট হাই কোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে অংশ নেন চাকরিপ্রার্থী পল্লব বারিক। ওই পরীক্ষায় তিনি পাশ করেননি বলে জানায় পর্ষদ। তার পর এতগুলি বছর কেটে যায়। বাধ্য হয়ে পর্ষদকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করেন পল্লব। চাকরিপ্রার্থীর বক্তব্য, আবার গত বছর পর্ষদ জানায়, টেটে পাশ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। টেট উত্তীর্ণ জানতে পেরে চাকরির দাবিতে হাই কোর্টে মামলা করেন পল্লব।
গত ২১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই চাকরিপ্রার্থীকে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ কার্যকরে দেরি হওয়ায় অসন্তুষ্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার শুনানির ৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ বিকাল ৩টে ২০ মিনিটের মধ্যে আদালতের পূর্ব নির্দেশ মানতে হবে বলেই সাফ জানান বিচারপতি। নির্দেশ না মানলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন। সেই হুঁশিয়ারির পরই পদক্ষেপ পর্ষদ সভাপতির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.