ছবি: প্রতীকী
গৌতম ব্রহ্ম: এগরা, বজবজের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের ক্ষোভের মুখে পুলিশ সুপাররা। কেন বিস্ফোরণের আগে বেআইনি কারখানা সম্পর্কে খবর মিলছে না? কেন কোথায় কত বাজি মজুত রয়েছে তা সম্পর্কে আগাম খবর পাচ্ছেন না সুপাররা? মঙ্গলবারের ভারচুয়াল বৈঠকে এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য পুলিশের আইজি, ডিআইজিরা।
একের পর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এদিন পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের নিয়ে ভারচুয়াল বৈঠক বসেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা ও রাজ্য পুলিশের ডিজি। সেখানেই সুপারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরপর বিস্ফোরণে ইতিমধ্যে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ১৫ জনের। এগরার বিস্ফোরণের পরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এলাকার আইসিকে শোকজও করা হয়। দীর্ঘসময় ধরে বাজি কারখানা চলার পরও কেন এলাকার আইসি সেসম্পর্কে জানতেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ মুথ্যমন্ত্রী। এবার সেই প্রশ্ন তুললেন রাজ্য পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা।
সাধারণত, বিভিন্ন সময় থানায় থানায় হানা দেন খোদ পুলিশ সুপার। ফলে থানাগুলির উপর চাপ বজায় থাকে। সূত্রের খবর, সেঅ অভিযানে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে। পুলিশের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগও কমেছে। ফলে কোন এলাকায় কী হচ্ছে, কোথায় বাজির কারখানা চলছে তার খবর পাচ্ছে না পুলিশ। সাধারঁণত, এলাকার এই কারখানাগুলিকে এলাকারই মানুষ কাজ করেন। রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, বেআইনি বাজি কারখানার হদিশ দিলে মিলবে পুরস্কার। কিন্তু নাম, পরিচয় গোপন খাকবে। তারপরেও কেন খবর আসছে না? তা পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে জেলা পুলিশ সুপারদের। পাশাপাশি রাজ্যের পুলিশ সুপারদের আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.