Advertisement
Advertisement

Breaking News

Aparajita Bill

চাপ বাড়ানোর কৌশল, ‘অপরাজিতা’ বিলের প্রতিলিপি মোদি-শাহের কাছে পাঠাচ্ছেন স্পিকার

রীতি মেনে বিলটি ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালের কাছে। রীতি অনুযায়ী, বিধানসভায় পাশ হওয়া যে কোনও বিল পাঠানো হয় রাজভবনে। সেই বিলে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়।

WB speaker to sent Aparajita Bill copy to PM Modi and HM Shah
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 5, 2024 11:55 am
  • Updated:September 5, 2024 2:00 pm  

কৃষ্ণকুমার দাস: রীতিতে নেই। তাও রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিলে’র (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪) প্রতিলিপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পাঠাচ্ছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া রীতি মেনে বিলটি ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালের কাছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয় ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪)। সেখানে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার শরীরে যদি একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকে, এমনকী অত্যাচারের ভয়াবহতায় নির্যাতিতা যদি কোমায় চলে যান বা অচৈতন্য হয়ে পড়েন, তবে সেক্ষেত্রে দোষ প্রামাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড হবে অপরাধীর। ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলার নিস্পত্তির কথাও বলা আছে বাংলার বিলে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পলিগ্রাফে দশ প্রশ্ন, লাই ডিটেক্টরের সামনেও সিবিআইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা সঞ্জয়ের]

রীতি অনুযায়ী, বিধানসভায় পাশ হওয়া যে কোনও বিল পাঠানো হয় রাজভবনে। সেই বিলে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়। রাজ্যপাল যদি বিল নিয়ে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন তাহলে সেটি রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠাতে পারেন। এই ধরনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিলের প্রতিলিপি পাঠানোটা দস্তুর নয়। তবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ দুজনের কাছেই এই বিলের প্রতিলিপি পাঠাতে চাইছেন, বিলটির গুরুত্ব বোঝাতে।

[আরও পড়ুন: পদের অপব্যবহার করে কোটি কোটি বেতন, সেবি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কংগ্রেস]

যদিও রাজনৈতিকভাবে এটা চাপ বাড়ানোর কৌশলও হতে পারে। ‘অপরাজিতা’ বিল(Aparajita Bill) পেশের দিন বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, দায়িত্বশীল বিরোধী হিসাবে বিলটিকে পাশ করাতে সাহায্য করবেন তাঁরা। এটিকে আইনে পরিণত করার দায়িত্ব সরকারের। আবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা রাজ্যপালকে বলুন বিলে তাড়াতাড়ি অনুমোদন দিতে।’’ কিন্তু রাজ্যপাল বিল পাশে গড়িমসি করতে পারেন, বা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন। সেটা ভেবেই সম্ভবত আগেভাগে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে বিলের প্রতিলিপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীকে পাঠিয়ে দিলেন স্পিকার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement