Advertisement
Advertisement
Primary Teacher

প্রথমবার চক-ডাস্টার হাতে প্রাথমিকের ইন্টারভিউ হবু শিক্ষকদের, স্বচ্ছতা রাখতে ভিডিওগ্রাফিও

ইন্টারভিউতে ডাকা হয় ২০০ চাকরিপ্রার্থীকে।

WB Primary Teacher's interview going on with Videography | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 27, 2022 7:18 pm
  • Updated:December 27, 2022 7:18 pm  

দিপালী সেন: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আর দুর্নীতির আঁচ আসতে দিতে রাজি নয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সারা হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার থেকে কলকাতায় শুরু হওয়া ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় রীতিমতো হাতে চক-ডাস্টার নিয়ে শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের। আর পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ রাখতে করা হচ্ছে ভিডিওগ্রাফিও।

রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে প্রায় ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২১ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদনপত্র জমা নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জানা গিয়েছিল, প্রায় ৩৪ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। তাঁদের মধ্যে থেকেই প্রথম পর্যায়ে প্রায় ২০০ জন আবেদনকারী প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণের জন্য। তাঁরা প্রত্যেকেই নিয়োগের জন্য কলকাতা জেলা নির্বাচন করেছিলেন। এদিন তাঁদের মধ্যে ২০০ জনকে ডাকা হয়েছিল। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে প্রথম পর্যায়ের ইন্টারভিউ। আবার দুপুর একটার পর থেকে পরের ১০০ জনের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি: টাকার বিনিময়ে চাকরি! এবার CBI স্ক্যানারে স্কুল-কলেজের ৯ ‘মিডলম্যান’ শিক্ষক]

কোভিডবিধি মেনে চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে ঢোকানো হয়। নথি যাচাইয়ের জন্য পাঁচটি আলাদা টেবিলের ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিটি টেবিলে ছিল ল্যাপটপ। এসআই. ডিআই স্তরের আধিকারিকরা ছিলেন নথি যাচাইয়ের দায়িত্বে। চাকরিপ্রার্থীদের বিভিন্ন নথি ও আবেদনের সময় জমা করা নথি মিলিয়ে দেখা হয়। নথি যাচাইয়ের পর প্রতি পরীক্ষার্থীকে ইন্টারভিউ টেবিলে পাঠানো হচ্ছিল। সেখানেও পাঁচটি টেবিল রাখা হয়েছিল। প্রতি টেবিলে ছিলেন তিনজন বিশেষজ্ঞ। এবার চাকরিপ্রার্থীদের ‘অ্যাপ্টিটিউড’ পরীক্ষা দিতে হয়। অর্থাৎ পড়ুয়াদের আদৌ পড়াতে পারবেন কি না তা বুঝে নিতে এদিন চাকরিপ্রার্থীদের চক-ডাস্টার নিয়ে ব্ল্যাকবোর্ডে পড়ানোর পরীক্ষা দিতে হয়। গোটা প্রক্রিয়ায় খুশি চাকরিপ্রার্থীরা। ইন্টারভিউ দিয়ে বেরিয়ে সে কথাই জানিয়েছেন তাঁরা।

নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ইন্টারভিউ টেবিলেও থাকবে ল্যাপটপ। সেখানে নম্বর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেন্ট্রাল সার্ভারে আপডেট হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে নম্বর কারচুপির কোনও অভিযোগ না ওঠে।

[আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের আরজি খারিজ, খুনের চেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement