প্রতীকী ছবি।
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রায়পুরে কংগ্রেসের প্লেনারিতে (Plenary Session) যোগদানের জন্য আমন্ত্রণের মেসেজ এসে গিয়েছে নব নির্বাচিত AICC সদস্যদের মোবাইলে। সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ছত্তিশগড়ের রায়পুরে বসছে ৩ দিনের অধিবেশন। কিন্তু বাংলা থেকে AICC তালিকায় নাম না থাকার ক্ষোভ বুধবারও আছড়ে পড়েছিল প্রদেশ দপ্তরে। যার জেরে প্লেনারিতে না যাওয়ার কথাও ভেবেছেন একাধিক জেলার নেতা। ক্ষোভের কথা AICC সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপালের কাছেও পৌঁছেছে। শোনা গিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিরক্ত হয়ে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) ঘরোয়া কথায় এও নাকি বলেছেন, পরিস্থিতি সামলাতে এখন তাঁর নাম বাদ দিলেই বোধহয় সবথেকে ভাল হয়।
একাধিক জেলা এমন রয়েছে, যেখান থেকে একজনও সদস্য নেই। উল্টে কলকাতা, দার্জিলিং, মুর্শিদাবাদ থেকে অসংখ্য সদস্য। দুই মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি থেকে একজনও সদস্য নেই। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে সিকিভাগও সদস্য করা হয়নি। অভিযোগ, প্রদেশের সিনিয়র কোনও কোনও নেতা প্রদেশ সভাপতিকে না জানিয়ে ন্যায্য নাম কেটে হাইকমান্ডের থেকে পছন্দের নামে সিলমোহর নিয়ে এসেছেন। দক্ষিণ কলকাতা (South Kolkata) থেকেই সেই ঘটনা ঘটেছে।
যে যে জেলা বঞ্চিত, তাদের নেতৃত্ব এ নিয়ে সরাসরি প্রদেশ সভাপতির কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন। তাঁদের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে সভাপতির তরফ থেকে। কিন্তু প্লেনারির আগে আর নতুন করে নাম ঢোকানো সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন এক AICC সদস্য। তাঁর কথায়, “এখন আর নতুন করে নাম ঢোকাবে কী করে? বেনুগোপালজির সই করা নামের তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে বেনুগোপালজির মেসেজ চলে এসেছে প্লেনারির আমন্ত্রণে! যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।” এখানেই আরেক AICC সদস্য জানাচ্ছেন, এই ক্ষোভ সামাল দিতে প্লেনারি অধিবেশন থেকেই আরও কমবেশি জনা ২০ নতুন সদস্য হতে পারে বাংলা থেকে। তবে চূড়ান্ত কোনও আশ্বাস না পেলে প্লেনারিতে যোগ দেবেন কিনা ভাববেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি তাপস মজুমদার ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি মনোরঞ্জন হালদারের মতো অনেকেই। সেক্ষেত্রে সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ নেতৃত্বের (PCC) মুখ পুড়বে। স্বাভাবিকভাবে আঙুল উঠবে বর্তমান সভাপতির দিকে।
দক্ষিণ কলকাতার পার্ক সার্কাসের এক নেতা জাহিদ হোসেন। তিনি নিজের নাম AICC’র তালিকায় না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রিজওয়ানুর রহমানের ঘটনার সময় থেকে তিনি সক্রিয়ভাবে দলকে আন্দোলনে ওই এলাকায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে জাহিদের দাবি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর নাম কেটে বছরের বেশিরভাগ সময় বিদেশে থাকেন, এমন একজনকে সদস্য করে দিয়েছেন এক সিনিয়র নেতা। জাহিদ বলছেন, “আমার নাম জেলা নেতৃত্ব সুপারিশ করে। আমি দলের সক্রিয় কর্মী। অথচ আমার নাম কেটে দিলেন এক সিনিয়র নেতা। আমি প্রদেশ নেতৃত্বকে জানিয়েছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.